>জাতীয় দলের ১৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গড়েছে বসুন্ধরা কিংস।
দেশের ফুটবলের (ছেলে) সর্বোচ্চ পর্যায়ে নাম লিখিয়েই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। নারী ফুটবলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়েছে তারা। জাতীয় দলের ১৯ জন ফুটবলার নাম লিখিয়েছে করপোরেট দলটিতে। এক প্রকার বলাই যায় বসুন্ধরার আদলে মাঠে নামবে জাতীয় দল।
কে নেই বসুন্ধরায়? জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুন থেকে শুরু করে সহ অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমি, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন, মণিকা চাকমা। কাল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এসে নতুন দলে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিয়েছে তাঁরা। অর্ধ যুগ পরে শুরু হতে যাওয়া লিগে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছেন সাবিনা। বিশ্বস্ত সূত্রমতে টাকার অঙ্কটা ৫ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত শেষ লিগে খেলেছিলেন শেখ জামালের জার্সিতে।
বসুন্ধরাকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য সাবিনার, ‘১০ বছর ধরে বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল খেলছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বসুন্ধরাকে চ্যাম্পিয়নের চেষ্টা করব।’ দেশের বাইরে লিগ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। মালদ্বীপের দিভেহি লিগের ক্লাব পুলিশ এফসিতে ছাড়াও ভারতের সেতু এফসিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ অধিনায়কের।
বসুন্ধরা কিংসের কোচ মাহমুদা শরীফা চোখ রেখেছেন চ্যাম্পিয়নের ট্রফিতে, ‘এবার আমরা জাতীয় দলের ১৯ জন ফুটবলার নিয়েছি। খুবই শক্তিশালী একটা দল গড়েছি। আমাদের লক্ষ্যই থাকবে ট্রফি জেতা।’ বসুন্ধরা ছাড়া বাকি ছয়টি দল উত্তরার বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব, রংপুরের এফসি উত্তরবঙ্গ, জামালপুরের কাচারিপাড়া একাদশ, কুমিল্লা ইউনাইটেড, যাত্রাবাড়ীর নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব, সুনামগঞ্জের স্বপ্নচূড়া অ্যান্ড আকেলপুর ফুটবল একাডেমি, সিলেটের স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো।
বসুন্ধরা ছাড়া একেবারে নামসর্বস্ব দলগুলো নিয়ে হচ্ছে এবারের লিগ। তারপরও এই লিগ জমজমাট হবে বলেই আশাবাদী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘আমি আগেও বলেছি তারা হয়তো নামে অখ্যাত দল, কিন্তু এই দলগুলোর মধ্যে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আছে। এদের মধ্যে অনেকে ভালো দল গড়েছে। আশা করি লিগটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’ ৩১ জানুয়ারি লিগ শুরুর কথা থাকলেও আপাতত তা পিছিয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর শুরু হবে নারী প্রিমিয়ার লিগ। তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।