>জীবনে ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে অনেক কিছু অর্জন করেছেন আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার ফুটবল তারকা মেসি। তবে ব্যর্থতাও আছে তাঁর। নিজের ব্যর্থতা মেনে নেওয়া সব সময়ই কঠিন ছিল মেসির কাছে। আর সেসব বিষয়ে কথা বলা তো একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর। তবে তাঁর একজন সমালোচক আছেন, যার সঙ্গে তাঁকে নিয়ে সব আলোচনা-সমালোচনা মন দিয়ে শোনেন ফুটবলের এই মহাতারকা।
কয়েকটা বছর আগেও মেসির সমালোচকের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তবে ইদানীং সময়টা তাঁর খুব ভালো গেছে তা বলার সুযোগ নেই। শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন ২০১৫ সালে। শেষ ব্যালন ডি’অর জয়? সেটাও তিন বছর আগের কথা। তবে জয় আর সফলতার জন্য মেসির একাগ্রতা নিয়ে সংশয় নেই কারও। ব্যর্থ হওয়ায় নিজে কষ্ট পান কিন্তু সে বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা খুব একটা পছন্দ নয় তাঁর। তবে তাঁর আছে এমন একজন সমালোচক, যার সঙ্গে কথা না বলে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
সেই বিশিষ্ট সমালোচকটি হলেন মেসির বড় ছেলে থিয়াগো মেসি। আর লিওনেল মেসি জানিয়েছেন এখন নিজের খেলার খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে বাবা-ছেলের নিয়মিত আলোচনা হয়,‘আমার বড় ছেলে খুব ভালো ফুটবল বোঝে আর ফুটবল বিষয়ক সবকিছু নিয়ে কথা বলে। আমি ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে কিছু সমালোচনা শুনেছি। বার্সেলোনা, লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ—সবকিছু দেখে সে। যখন সব ঠিকঠাক যায় না, সে আমাকে প্রশ্ন করে, তার মতামত জানায়, এবং এই কাজটা সে বেশ পছন্দ করে।’
মেসির ক্যারিয়ারে আছে এমন সব সাফল্য, সেগুলো বলে শেষ করার মতো নয়। পাঁচবার জিতেছেন ব্যালন ডি অর। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা, চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল সংখ্যায় দুইয়ে, আরও কত সফলতা। কিন্তু এত সবকিছুর পরেও মেসির সবকিছু নিয়ে সন্তুষ্ট নন সমালোচক থিয়াগো। মেসি আগে নিজের সমালোচনা নিয়ে কথা বলতে বিরক্ত হতেন অথচ এখন সেই সুযোগ নেই। কথা যে বলতেই হবে ছেলের সঙ্গে।
এ নিয়ে বিপদে থাকা মেসি বলেন, ‘এটা আগের মতো নেই। হারা ও বাজে খেলার অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কাজ। কিন্তু থিয়াগো আমাকে জোর করে এবং জানতে চায় কী হয়েছে না হয়েছে এবং কেন আমরা জিততে পারেনি। এখন, আমরা আগের চেয়েও বেশি কথা বলি।’