>চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে নিষিদ্ধ হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের বিরুদ্ধে উয়েফা অর্থ-সংক্রান্ত ব্যাপারে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে
টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। গত ফেব্রুয়ারিতে জিতেছে লিগ কাপও। শনিবার এফএ কাপের ফাইনালে তাঁদের প্রতিপক্ষ ওয়াটফোর্ড। জিতলে ঘরোয়া ‘ট্রেবল’ নিশ্চিত করবে সিটি। তখন সিটি কোচ হিসেবে পেপ গার্দিওলার চ্যালেঞ্জ বলতে বাকি থাকবে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ। কিন্তু আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ নাও পেতে পারে সিটি।
প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটি তো চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবেই। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। সিটির বিপক্ষে অর্থনৈতিক জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা—উয়েফা। মাঠে সাফল্য পেতে দলটি উয়েফার আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উয়েফা তদন্ত কর্মকর্তারা এ জন্য সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। আগামী মৌসুমে কিংবা ২০২০-২১ মৌসুমে সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করতে পারেন উয়েফার তদন্ত কর্মকর্তারা।
সিটির বিপক্ষে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নীতি ভাঙার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিল দলটি। ইংলিশ ফুটবল কর্তৃপক্ষ এবং উয়েফার অর্থনৈতিক বিভাগের তদন্তকারীরা গত কয়েক মাস ধরে সিটির ব্যাংক হিসাবে নানা অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে সিটির বিপক্ষে অভিযোগ, চার বছর আগে তাঁরা ক্লাবের মালিকের কাছ থেকে সরাসরি ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড নিলেও দেখানো হয়েছে স্পনসরশিপের অর্থ হিসেবে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নিয়ম ভেঙে সিটি ১৮৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করেছিল বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ সংবাদমাধ্যম।
উয়েফার অধীনে ক্লাবের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও প্রধান তদন্তকারী ইয়েভেস লেত্রেমে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যা লেখা হয়েছে তা সত্য হলে বড়রকমের সমস্যা হতে পারে। (সিটির) সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে তারা বাদও পড়তে পারে।’