বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার তপু বর্মণ
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার তপু বর্মণ

চোট পাওয়ায় কমলাপুরের টার্ফের দোষ দেখছেন তপু বর্মণ

মৌসুম শুরু না হতেই দুঃসংবাদ পেলেন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। চলমান স্বাধীনতা কাপে ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ম্যাচে খেলার সময় হাঁটুতে চোট লাগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তপুর। আর এই চোটের কারণে আগামী ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে গেলেন তিনি।

কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফের মধ্যে তপুর বুটের স্পাইক আটকে যায়। আর ওই সময় হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পান। এরপর এমআরআই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত ছয় সপ্তাহ মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।

কমলাপুরের টার্ফের মান নিয়ে অভিযোগ আছে

গত মৌসুমে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মোহামেডানের জাপানি ফুটবলার উরু নাগাতা। সেই চোটের কারণে মোহামেডানের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে হয়েছে তাঁকে। চলমান স্বাধীনতা কাপে এবার কমলাপুর টার্ফে খেলে চোট পেলেন তপু।

হতাশ তপু আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘাসের মাঠ হলে এত গুরুতর আহত হতাম না। এই টার্ফে স্বাভাবিক খেলা সম্ভব না। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে স্পাইক আটকে যায় টার্ফে। এ জন্য অ্যাঙ্কেলের ওপর চাপ রাখতে না পেরে হাঁটুতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা পাই। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক চার থেকে ছয় সপ্তাহ বিশ্রামের কথা বলেছেন। তবে ভাগ্য ভালো অস্ত্রোপচার করতে হবে না।’

তপু বর্মণ

বিশ্বের অনেক দেশে টার্ফের মাঠে খেলেছেন তপু। কিন্তু অন্য দেশের তুলনায় কমলাপুর টার্ফ সম্পূর্ণ আলাদা মনে করেন তপু, ‘তাজিকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপের টার্ফগুলোর প্লাস্টিক কিছুটা বড় এবং কালো উপাদান আছে। আমাদের এখানে প্লাস্টিক খুবই ছোট ও টার্ফের কালো উপাদানগুলো ছিটকে যাচ্ছে। এখানে খেলতে তাই সমস্যা হয় আমাদের।’

তপু প্রায় দেড় মাসের মধ্যে মাঠে নামতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা কাপ শেষ হয়ে যাবে। ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের খেলাও হতে পারে কমলাপুরে। কিন্তু এমন ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে শঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন মাঠে নামছেন ফুটবলাররা।