চেলসিতে যাচ্ছেন স্টার্লিং
চেলসিতে যাচ্ছেন স্টার্লিং

চেলসিতেই যাচ্ছেন স্টার্লিং

ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়তে চান রহিম স্টার্লিং, এটা আগেই জানা ছিল। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে এসেছিল চেলসির নাম। একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটির সঙ্গে ব্যক্তিগত বিভিন্ন শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এই তারকা।

স্টার্লিংয়ের চুক্তির আরও এক বছর বাকি আছে ম্যানচেস্টার সিটিতে। ক্লাব তাঁকে রাখতেই চেয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব। কিন্তু স্টার্লিং ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নতুন মৌসুমে নতুন ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলতে চান।

চেলসিতে টমাস টুখেলের বড় অস্ত্র হতে যাচ্ছেন স্টার্লিং

সিটির একাদশে গত ১৮ মাসে নিয়মিত ছিলেন না স্টার্লিং। ডাগ আউটে বসে থাকাটা তাঁর ভালো লাগছিল না। চেলসিতে ৫ কোটি পাউন্ডে যাচ্ছেন তিনি। চেলসি কোচ টমাস টুখেল চান দলটাকে নতুন করে সাজাতে। রোমেলু লুকাকু ইন্টার মিলানে চলে যাওয়ায়, তাঁর জায়গায় আসছে মৌসুমে স্টার্লিংই হতে পারেন তাঁর আক্রমণের মূল ভরসা। একই সঙ্গে ওসমান দেম্বেলে ও রাফিনহাকে কেনার ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছেন চেলসি কোচ। স্টার্লিংয়ের সঙ্গে চেলসির চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে খুব শিগগির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ দাবি করেছে, সিটিতে সাপ্তাহিক ৩ লাখ পাউন্ড পারিশ্রমিক পেতেন স্টার্লিং। চেলসিতে গেলে এর চেয়ে কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাবেন। তাতে চেলসির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় হবেন স্টার্লিং।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা স্টার্লিং সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে নেমে ১৭ গোল করলেও তিনি কখনোই পেপ গার্দিওলার প্রথম পছন্দ ছিলেন না। সিটি কোচ নিজে থেকে কিছু না বললেও ব্রিটিশ গণমাধ্যম আগেই খবর দিয়েছিল, রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন স্টার্লিং। তিনি এখন ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়তে চান। মূল উদ্দেশ্য একটাই, নিয়মিত খেলার নিশ্চয়তা।

ম্যানচেস্টার সিটিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না স্টার্লিং

২০১৫ সালে লিভারপুল থেকে ৪৯ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন স্টার্লিং। কিন্তু সিটির জার্সিতে গত মৌসুমে সেভাবে নিয়মিত খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। স্টার্লিং এখন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জার্সিতে নিজের সুযোগ পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় ভুগছেন।

গত মৌসুমে সিটির ৩৮টি লিগ ম্যাচের ২৩টিতে তিনি প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলাতেই তাঁকে বদলি খেলোয়াড়ের তালিকায় রাখা হয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে দুই লেগেই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তিনি বেঞ্চে বসে ছিলেন। রিয়ালের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্নভঙ্গ হয় সিটির।