চেলসি ও লেস্টার সিটি-দুই দলের জন্য এবারের এফএ কাপের ফাইনালটা ছিল দুই রকমের। চেলসির জন্য ছিল এফএ কাপে নিজেদের রেকর্ডটা আরেকটু সমৃদ্ধ করে নেওয়ার, লেস্টারের জন্য ইতিহাস গড়ার। শেষ পর্যন্ত লেস্টারেরই জয় হলো। চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এফএ কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে লেস্টার সিটি।
লেস্টার সিটির এফএ কাপের ফাইনালের রেকর্ড অবশ্য ভালো ছিল না। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে চারবার এফএ কাপের ফাইনাল খেলেছে দলটি। এর মধ্যে তিনবারই ষাটের দশকে। কিন্তু চারটি ফাইনালেই হেরেছে লেস্টার। জেমি ভার্ডির ঝলকে ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগে রূপকথা লেখা লেস্টার এবার অবশ্য জয় পেয়েছে টমাসের সহায়তায় তিয়েলেমানসের ৬৫ মিনিটের একমাত্র গোলে।
এবার জিতলেই টটেনহামকে (৮ বার) পেছনে ফেলে এফএ কাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯টি শিরোপা জয়ী দল হয়ে যেত চেলসি। এর চেয়ে বেশিবার ট্রফিটা জিতেছে শুধু আর্সেনাল (১৪) ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১২)। দারুণ এই অর্জনের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার লড়াইটা খুব ভালোভাবেই শুরু করে টমাস টুখেলের দল। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর লেস্টারের গোলকিপার কাসপার স্মাইকেলের অসাধারণ সেভের কারণে এগিয়ে যেতে পারেনি চেলসি।
এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও উঠে গেছে চেলসি, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যান সিটি। তার আগে এই শিরোপাটা জিততে পারলে হয়তো টনিকের মতো কাজ করত চেলসির জন্য। কিন্তু সেটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো এফএ কাপ জয়ের ইতিহাস গড়ল লেস্টার।
চেলসিকে অবশ্য ভাগ্যও বঞ্চিত করেছে। টুখেলের দল ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার আনন্দে ভেসেছিল। কিন্তু খানিক পরেই তাদের সেই আনন্দ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ওয়েস মরগানের আত্মঘাতী গোলটি বাতিল হয়ে যায় ভিএআরের সিদ্ধান্তে। ভিএআরে দেখা যায় আত্মঘাতী গোলটি হওয়ার আগে অফসাইড ছিলেন চেলসির এক খেলোয়াড়।