এক বছরের বেশি হয়ে গেছে। তবু এখনো সে ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়। লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়া, ওদিকে তৎকালীন সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ কোনোভাবেই তাঁকে ছাড়তে রাজি হননি। সরাসরি বলে দিয়েছেন, কেউ নিতে চাইলে ৭০ কোটি ইউরো দিয়ে নিতে হবে মেসিকে।
এ ব্যাপারে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে প্রিয় ক্লাবকে বিপদে ফেলতে না চাওয়ায় মেসি থেকে যান বার্সেলোনায়। সে লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে বার্তোমেউ জয় পেলেও ছয় মাস পেরোনোর আগেই বিদায় নিতে হয়েছে তাঁকে। মেয়াদপূর্তির আগেই সরে যেতে হয়েছিল বার্তোমেউকে। মাঝে ক্লাব নিয়ে কথা বললেও মেসি প্রসঙ্গে এত দিন কিছু বলেননি বার্তোমেউ। অবশেষে বর্তমান সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার প্রতি ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে বলেছেন, মেসিকে ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছে বর্তমান বোর্ড।
২০২০ সালে মেসি ক্লাব ছাড়তে চেয়েও পারেননি। আর ২০২১ সালে চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েও থাকতে পারেননি ক্লাবে। বার্তোমেউ পদত্যাগ করার পর মেসিকে ক্লাবে যেকোনোভাবেই হোক ধরে রাখবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন লাপোর্তা। কিন্তু নতুন মৌসুমে এসে সে প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে পারেননি। ক্লাবের বেতন লা লিগার বেঁধে দেওয়া সীমা অতিক্রম করছে, এ যুক্তি দিয়ে মেসিকে ছেড়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
বার্তোমেউ এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানতে পারছেন না। স্পোর্ত, মুন্দো দেপোর্তিভো ও আরও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘২০২০ সালের গ্রীষ্মে তাঁকে ধরে রাখতে লড়াই করেছে, এমন একজন হিসেবে বলছি, সে ক্লাবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাকে ছেড়ে দেওয়াটা খুব বাজে সিদ্ধান্ত, ভুল।’
গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি ম্যানচেস্টার সিটিতে যাবেন, এমনটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বার্তোমেউ বলছেন, মেসির ক্লাব ছাড়ার প্রচণ্ড ইচ্ছা দেখে তাতে প্রায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু ইউরোপের কোনো শীর্ষ ক্লাবে মেসি যাবেন, এ ঝুঁকি নিতে রাজি হননি সাবেক সভাপতি, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, সে যদি জাভি বা ইনিয়েস্তার মতো যেতে চায় কাতার, চীন বা যুক্তরাষ্ট্রে; তাহলে আমরা কথা বলতে পারি। তাকে একটা বিদায়ী সংবর্ধনাও দেব। কিন্তু মেসি কোনো দল ঠিক করেনি এবং সে চুক্তিহীন অবস্থাতেই যেতে চেয়েছিল (যাতে ইউরোপের যেকোনো ক্লাবে যেতে পারেন)।’
‘আমরা বলেছি, “আমরা চাই ইউরোপে আমরাই তোমার শেষ ক্লাব হব (জাভি, ইনিয়েস্তার মতো)। যদি অন্য কোনো মহাদেশে যেতে চাও, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা চাই আমাদের এ যাত্রা চলুক।” আর ২০২০ গ্রীষ্মের গল্পটা (দলবদলের) এটাই। আমরা বলেছি সে থাকুক, এটাই চাই। আর সে চেয়েছিল চলে যেতে কিন্তু কোথায় সেটা জানে না। সে কোথায় যেতে চায়, সেটাই জানতে চেয়েছি আমরা।’