জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে খেলায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে।
কোচ ও খেলোয়াড়—একের মধ্যে দুই সামলাচ্ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। জাতীয় দলের খেলা হলে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে মাঠে নামতেন। আর বয়সভিত্তিক দলের টুর্নামেন্ট এলেই সাবিনা বনে যেতেন সহকারী কোচ। বেশ কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলে আসছিল। তবে এখন থেকে সাবিনা শুধুই খেলোয়াড়। কারণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কোচের চাকরি থেকে আপাতত বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবিনা নিজেই।
সাধারণত পারফরমেন্সের ওপরে ভিত্তি করেই প্রতি বছরের জন্য কোচদের সঙ্গে চুক্তি করে থাকে বাফুফে। বছর শেষে মূল্যায়ন করে হয় নতুন বছরের চুক্তি। নতুন বছরে সাবিনার সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণ অবশ্য ভিন্ন। খেলার সঙ্গে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করাটা বেশ কঠিনই হয়ে পড়ছিল তাঁর জন্য। তাই শুধু খেলায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সাবিনা, ‘কোচের পদে থাকায় পারফরমেন্স খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। তাই খেলায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আমাকে। বিষয়টি আমার কাছে ইতিবাচক।’
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নিয়ম অনুযায়ী, এএফসি-স্বীকৃত টুর্নামেন্টে সব দলে একজন সহকারী মহিলা কোচ থাকতেই হবে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের জন্য তাই বাফুফে কোচ হিসেবে মনোনীত করেছিল সাবিনাকে। ২০১৭ সালের জুনে বাংলাদেশ দলের জাপান সফরের প্রস্তুতি ম্যাচে কোচ সাবিনার অভিষেক হয়। খেলার মধ্যেই সেরে নিয়েছেন এএফসি ‘সি’ ও ‘বি’ কোর্স।