অ্যানফিল্ডে লিগ কাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। মাঠটা লিভারপুলের বলেই প্রতিপক্ষের এমনিতেই তটস্থ থাকার কথা। লিভারপুলের মাঠে গিয়ে জিতে আসা তো আর সহজ কথা নয়! অথচ প্রথমার্ধ শেষে লেস্টার সিটি ৩-১ গোলে এগিয়ে!
এদিকে লিভারপুলের জন্যও প্রতিপক্ষকে ঘুরে দাঁড়ানোর ‘পাঠ’ দেওয়া নতুন কিছু নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০০৫ ‘ইস্তাম্বুলের অলৌকিক রাত’ থেকে এমন অনেক ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিভারপুল। কালও ঠিক তা–ই ঘটল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে তাকুমি মিনামিনোর গোলে ৩-৩ ব্যবধানে সমতায় ফেরে লিভারপুল। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুচাপের এই পরীক্ষায় ৫-৪ গোলের জয়ে শেষ পর্যন্ত লিভারপুলই পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। টাইব্রেকারে স্বাগতিকদের হয়ে জয়সূচক গোলটি ডিয়েগো জোতার। সেমিফাইনালে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। অপর সেমিফাইনালে টটেনহামের মুখোমুখি হবে চেলসি।
১৩ মিনিটের মধ্যে জেমি ভার্ডির জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুল। ১৯ মিনিটে অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিনের গোলে ব্যবধান কমায় ক্লপের দল। কিন্তু ৩৩ মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের রকেটগতির শট থেকে করা গোলে আবারও ২ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। ৪৫ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নামা পর্তুগিজ তারকা জোতা লিভারপুলের খেলায় প্রাণ ফেরান। ৬৮ মিনিটে মিনামিনোর পাস থেকে গোল করেন তিনি। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের মাথায় লিভারপুলের সমতাসূচক গোলটি জাপানের উইঙ্গার মিনোমিনোর। টাইব্রেকারে মিনামিনো অবশ্য হতাশ করেছেন। লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। কিন্তু লিভারপুল গোলকিপার কাইওমিন কেলেহের টাইব্রেকারে দুটি সেভ করে লিভারপুলকে বিপদ থেকে বাঁচান।
টটেনহামের বিপক্ষে রোববার ২-২ গোলে ড্র করা ম্যাচের একাদশে ১০টি পরিবর্তন এনে লিগ কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে দল মাঠে নামান লিভারপুল কোচ ক্লপ। শুধু টেলর মরটনই এ ম্যাচের একাদশে ঠাঁই পান। শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিতে পেরে খুশি ক্লপ, ‘আমি সত্যিই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুব খুশি হয়েছি। ম্যাচের কিছু মুহূর্ত আমায় আনন্দ দিয়েছে।’ অন্য ম্যাচে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ কাপের সেমিতে উঠে আসে টটেনহাম। ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারায় চেলসি।