>কাঠমান্ডুতে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ফুটবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
তাৎক্ষণিকভাবে তো বটেই, মধ্যাহ্ন বিরতিতে ও খেলার শেষে অভিযোগ নিয়ে রেফারির কাছে ছুটে গেলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। রেফারির সঙ্গে জামাল ভূঁইয়াদের আলাপের বিষয়বস্তু শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল, তিনি নিশ্চিতভাবেই রেফারিকে সেই বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েই জিজ্ঞেস করছিলেন। গোলটি যখন বাতিল হলো, বাংলাদেশের ফুটবলাররা রীতিমতো হতভম্বই বনে গিয়েছিলেন।
সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল গোলমুখ থেকে জালে জড়িয়েছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। অথচ নেপালের সহকারী রেফারি দিলেন কর্নারের সংকেত। সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল কীভাবে কর্নার হয়, ম্যাচ শেষেও জামালদের কাছে তা বোধগম্য নয়। হাস্যকর ভাবে গোল বঞ্চিত হয়েও আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি জামালরা। মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
এসএ গেমসে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ড্রয়ের ফলে সোনা জয়ের স্বপ্ন তো দূরের কথা, ফাইনালে খেলাটাই শঙ্কায় পড়ে গেল বাংলাদেশের। ৫ দল নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে ফাইনালে খেলতে হলে পরবর্তী দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বিপক্ষে জিততে হবে। এর পরেও তাকিয়ে থাকতে হতে পারে অন্য দলগুলোর দিকেও।
গতকাল ভুটানের বিপক্ষে হার দিয়ে গেমস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকালের ম্যাচের একাদশ থেকে সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান ও রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকে ছেঁটে রিয়াদুল হাসান ও সুশান্ত ত্রিপুরাকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন জেমি ডে। গতকালের ম্যাচের তুলনায় আজকের বাংলাদেশের খেলায় অন্তত ভালো ফুটবলের বিজ্ঞাপন ছিল। কখনো সরাসরি আবার কখনো বিল্ডআপে ফুটবলে আধিপত্য দেখিয়েছেন বিপলু, জামালরা।
৩০ মিনিটে বাংলাদেশের এই চাপের কাছে হার মেনেই আত্মঘাতী গোল উপহার দেয় মালদ্বীপ। রবিউল হাসানের লম্বা থ্রো-ইনে বক্সের মধ্যে থেকে রিয়াদুল ফ্লিক করেছিলেন। কিন্তু সে ফ্লিক মালদ্বীপ গোলরক্ষক সেভ করেন, কিন্তু তাদের ডিফেন্ডার আকরাম গনির শরীরে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে কখনো রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান আবার কখনো গোল পোস্ট। দ্বীপ দেশটি দুইবার গোল বঞ্চিত করে সাইড পোস্ট।
৭০ মিনিটে যে গোলের সুবাদে তারা সমতায় ফিরে আসে, তাতে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমানের দায় কম নয়। ডান প্রান্ত থেকে ইব্রাহিম মাহুদুর নেওয়া শট প্রথম পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়, ১-১। এর পরে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ দুই-একটি সুযোগ তৈরি করলেও খেলায় ছিল মালদ্বীপের আধিপত্যই। বাংলাদেশের নাম্বার নাইন নাবীব নেওয়াজ জীবনকে ওই একটা মুভেই ( গোল বাতিল হওয়া) ম্যাচে পাওয়া গিয়েছে, বাকিটা সময় আড়ালেই ছিলেন জেমির একাদশের একমাত্র স্ট্রাইকার।