দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার কোনো জটিল সমীকরণ নেই। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই দ্বিতীয় রাউন্ড ওঠার কাজটি সেরে রেখেছে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। তাই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার কোনো শঙ্কাও নেই। আজ কালিনিনগ্রাদে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম ম্যাচটি তাই শুধুই ‘জি’ গ্রুপে প্রথম হওয়ার লড়াই। লড়াইয়ের মাঝেও অবশ্য আরেকটি লড়াই আছে। সেটিও শ্রেষ্ঠত্বের, তবে সেই লড়াইটা শুধুই ব্যক্তিগত, গোল্ডেন বুটের লড়াই। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন ও বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু।
প্রথম দুই ম্যাচেই ২ গোল করে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভুলে যাওয়া এক কীর্তিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন লুকাকু। কীর্তিটা বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে ২ বা তার বেশি গোল করার। লুকাকুর আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সর্বশেষ যা পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার জুড়ি পেতে ৩২ বছর লেগেছে, কিন্তু লুকাকু এই কীর্তিতে নতুন সঙ্গী পেয়ে গেলেন এক দিন পরেই। ২৪ জুন পানামার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেই ম্যারাডোনা-লুকাকুর পাশে বসে পড়লেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন।
দুই ম্যাচে ৫ গোল। পরশু পর্যন্ত গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন কেনই। ৪ গোল করে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে এরপরই আছেন লুকাকু। আজ দুজনেরই সুযোগ গোলসংখ্যাটা বাড়িয়ে নেওয়ার।
কেন-লুকাকুর ম্যাচে যাঁর দল জিতবে, তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ম্যাচটি ড্র হলেই ঝামেলা, চলে আসবে তখন জটিল হিসাব-নিকাশ। গোলপার্থক্য, মোট গোল, মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবেও তখন সমান্তরালে দাঁড়িয়ে থাকবে দুই দল। এরপরই আসবে মাঠে কারা বেশি ‘ভদ্রলোক’ ছিল তা বিচারের। ফেয়ার প্লে পয়েন্টের সেই বিচারে আপাতত এগিয়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু আজ ম্যাচ শেষে লাল-হলুদের খাঁড়ায় পড়ে কে পিছিয়ে পড়বে, কে বলতে পারে। ‘ভদ্রতা’র সেই হিসাবেও ইংল্যান্ড-বেলজিয়ামকে আলাদা করা না গেলে মুদ্রানিক্ষেপে নির্ধারিত হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
হিসাবটা ওই পর্যন্ত গেলে সেটাকে অদ্ভুতই বলতে হবে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মারুয়ানে ফেলাইনিরও আজকের ম্যাচটাকে অদ্ভুত মনে হচ্ছে। ফেলাইনি অবশ্য অদ্ভুত বলছেন অন্য কারণে, ‘আমার মনে হয় দারুণ এক ম্যাচ হবে। ৫০-৫০ এক ম্যাচ। যেহেতু দুই দলই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে। তাই অদ্ভুত এক ম্যাচই হবে এটা।’
নির্ভার এক ম্যাচে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করতেই পারেন। তবে দুই দলই যদি খোলনলচে পাল্টে একাদশ সাজায়, অবাক হবেন না। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট ও বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ দুজনই কিন্তু ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখার।
সর্বোচ্চ গোলদাতা | ||
খেলোয়াড় | দল | গোল |
হ্যারি কেন | ইংল্যান্ড | ৫ |
রোমেলু লুকাকু | বেলজিয়াম | ৪ |
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | পর্তুগাল | ৪ |
দেনিস চেরিশেভ | রাশিয়া | ৩ |
ডিয়েগো কস্তা | স্পেন | ৩ |