সমালোচনা থাকলেও বাংলাদেশ দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে বারবার দেখা যায় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দল থেকে ছিটকে পড়েছেন আবাহনীর এই স্ট্রাইকার। তাঁর স্থলে খেলবেন কে?
আলোচনায় আছে তিনটি নাম সাদউদ্দিন, মতিন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান সুফিল। ফিলিস্তিন ম্যাচের আগে গতকাল শেষ অনুশীলন দেখে একটা বিষয় পরিষ্কার, জেমি ডের ভাবনায় সাদ। বাংলাদেশ কোচ শিকারও করেছেন সাদের খেলার সম্ভাবনার কথা। তবে একাদশে দেখা যেতে পারে মতিনকেও। আজকের ম্যাচে উইঙ্গার হিসেবে যে এই দ্রুতগতির ফরোয়ার্ড খেলতে যাচ্ছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। আক্রমণভাগে এই দুটি পরিবর্তন নিয়েই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শুরু করতে পারে বাংলাদেশ।
সাদ জাতীয় দলে নিয়মিত একাদশেরই খেলোয়াড়। সাধারণত খেলে থাকেন রাইট উইংয়ে। অক্টোবরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে গোল করেছিলেন। দলের প্রয়োজনে ‘নাম্বার নাইন’ পজিশনেও খেলেতে দেখা যায় তাঁকে। আজ জীবনের স্থলে তাঁর খেলার ইঙ্গিত স্পষ্ট জেমির কথাতেই, ‘নাম্বার নাইন পজিশনে সাদের খেলার সম্ভাবনায় বেশি।’ উইংয়ে মতিনের খেলার সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশ কোচের মুখ থেকে।
সবশেষ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের দলে ছিলেন না মতিন। বিয়ের জন্য আগেভাগেই দল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। ফেডারেশন কাপ দিয়ে ফিরেছেন মাঠে। গোল না পেলেও টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড। জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেলে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে চান, ‘খেলার সুযোগ পেলে সেরাটা দিয়ে খেলতে চাই। গোল সমস্যা দূর করতে হবে। এ জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করছি।’
মতিনকে দিয়ে একজন উইঙ্গারের না হয় সমাধান হলো। আরেক জন কে? মোহাম্মাদ ইব্রাহিম? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ কয়েকটি ম্যাচে দারুণ খেলেছেন দ্রুত গতির এই উইঙ্গার। বিশেষ করে সল্টলেকে ভারতের রক্ষণভাগ তো তাঁর কাছে গতিতে পরাস্ত হয়েছে বারবার। তাঁর সঙ্গে আক্রমণভাগে মতিন ও সাদ। অর্থাৎ গতির ঝড় তোলার সামর্থ্য রাখা তারুণ্য নির্ভর এক আক্রমণভাগ নিয়ে আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।