বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই ফেডারেশন কাপ শুরু হয়েছে কাল। ওয়াকওভার পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল যথাক্রমে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও আবাহনী লিমিটেড।
অবশেষে আজ খেলা হয়েছে, এটাই বড় খবর। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ স্পোর্টিং ক্লাব ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। কালকের মতোই গা গরম করে মাঠে নেমে পড়ল আরেক দল শেখ জামাল ধানমন্ডি। ওয়াকওভার পেয়ে নিয়মানুযায়ী ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে ধানমন্ডি ক্লাবটি।
দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে প্রতিপক্ষ ছাড়াই এক দল মাঠে নামছে। ১৫ মিনিট পর শেষ বাঁশি বাজিয়ে উঠে যাচ্ছেন রেফারি। বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাফুফেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছে এ টুর্নামেন্টে তারা খেলবে না। তবু অন্য দলকে মাঠে ডেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে ম্যাচ আয়োজনের এই নাটক বাফুফে কেন উপহার দিচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।
এখন পর্যন্ত হওয়া একমাত্র ম্যাচে গত আসরের রানার্সআপ সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে শুরু থেকেই সমান তালে খেলেছে সর্বশেষ স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে খেলা পুলিশ। ড্র হওয়া ম্যাচে উভয় দলই বেশ কয়েকটি করে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে।
২৪ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেছেন সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন সানডে। ডি বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন এই নাইজেরিয়ান, সামনে ছিলেন শুধুই গোলরক্ষক। কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলে বল চলে যায় পুলিশের ডিফেন্ডারের কাছে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের দুই গোল। ৫৩ মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ। ফয়সাল আহমেদকে পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো অগুস্তো স্লাইড করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়িয়ে মাথায় সান্তা ক্লজের টুপি পরে উৎসব করেন রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি বাইসেঙ্গে। ৬৫ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন পুলিশের আফগানিস্তানের স্ট্রাইকার আমীরউদ্দিন শরিফি। ঈসা ফয়সালের কাট ব্যাক বক্সের মধ্যে থেকে দুর্বল শট নেন তিনি।
জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল সাইফ। যোগ করা সময়ে নাটক। বক্সের মধ্যে পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো অগুস্তোকে ফাউল করেন সাইফের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান। পেনাল্টি পায় পুলিশ। স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরান আফগান স্ট্রাইকার শরিফি।