ওয়েন রুনি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুজন সতীর্থ ছিলেন
ওয়েন রুনি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুজন সতীর্থ ছিলেন

‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খুবই বিরক্তিকর’

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ওয়েন রুনির নাম একসঙ্গে শুনলে দুটি দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আলো ছড়াচ্ছেন তাঁরা, আর ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে একটা লাল কার্ড।

রোনালদো ও রুনি ছিলেন ভালো বন্ধু। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে একসঙ্গে খেলেছেন দুজন। কিন্তু ২০০৬ বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখাকে কেন্দ্র করে তাঁদের বন্ধুত্বে ফাটলও ধরেছিল।

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টারে জার্সিতে ভালো জুটি গড়েছিলেন দুজন। আক্রমণভাগে দুজনের বোঝাপড়া ছিল চমৎকার। কিন্তু ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে ভিন্ন এক রোনালদোকে দেখেন রুনি।

তাঁকে লাল কার্ড দেখাতে রেফারিকে প্ররোচিত করেছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। সেখানেই থামেননি রোনালদো, রুনি মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদো চোখও টিপে দিয়েছিলেন!

২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন ওয়েন রুনি

ইংলিশ সংবাদমাধ্যমে রুনি তাঁর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দুজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, একজন রোনালদো আরেকজন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। রোনালদোকে নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার রুনি বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো খুবই ভালো ছিল, একই সঙ্গে খুব বিরক্তিকরও। খেলায় সে হয়তো আগের মতো অতটা ভালো নেই, কিন্তু আগের মতোই হয়তো বিরক্তিকর।’

রোনালদোকে নিয়ে কথা বলবেন রুনি, সেখানে ২০০৬ বিশ্বকাপের লাল কার্ড দেখার প্রসঙ্গ উঠবে না, তা কি হয়? ১৬ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে রুনি বললেন, ‘ক্রিস্টিয়ানোর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। ওর ডাইভ দেওয়ার অভ্যাস আছে। আমি টানেলে তাঁকে বলেছিলাম “আমাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নেই। কারণ, প্রথমার্ধের সময়টা আমি কাটিয়েছি ডাইভ দেওয়ার জন্য সে যেন কার্ড দেখে, সেই চেষ্টা করে।’”

রুনির দাবি, সেই লাল কার্ডের জন্য তাঁদের মধ্যে কোনো সম্পর্কের অবনতি হয়নি, ‘খেলার মাঠে আমি এসব নিয়ে ভাবিনি। সে আমার সঙ্গী না। তবে কাজের প্রয়োজনে আমরা বন্ধু হয়েছি।’