ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র ম্যাচ শেষে হতাশ ফ্রান্সের খেলোয়াড়েরা
ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র ম্যাচ শেষে হতাশ ফ্রান্সের খেলোয়াড়েরা

বিশ্বকাপ বাছাই

কোথায় হারাল ফরাসি সৌরভ

এই তো গত বছরের কথা, ৮টি ম্যাচ খেলেছে ফ্রান্স। এর মধ্যে ৬টিতেই জিতেছে দিদিয়ের দেশমের দল, একটিতে করেছে ড্র, হেরেছে একটি ম্যাচ। এ বছরের শুরুতেই ছন্দটা ধরে রেখেছিলেন এমবাপ্পে-পগবারা। ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বছরের প্রথম ম্যাচটি ড্র করার পর টানা পাঁচটি ম্যাচে জিতেছেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করে কোথায় যেন হারিয়ে গেল সেই ফরাসি সৌরভ! দেশমের দল হয়ে পড়েছে ছন্দহীন। আর না হলে টানা পাঁচটি ম্যাচে জয়হীন থাকে তারা!

নাহ্‌, এই পাঁচ ম্যাচের একটিতেও হারেনি ফ্রান্স। তবে জিততেও যেন ভুলে গেছে তারা। সব কটি ম্যাচই ড্র করেছে দেশমের দল। যার সর্বশেষটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে, গতকাল ইউক্রেনের সঙ্গে ১-১ গোলে। হ্যাঁ, সেই ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র করেছে ফ্রান্স, যে দলটিকে গত বছরের অক্টোবরে এক প্রীতি ম্যাচে নিজেদের মাঠে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।

ইউক্রেনকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করে মিকোলা শাপালেঙ্কোর উচ্ছ্বাস (ডানে)

এবার অবশ্য খেলাটা হয়েছে ইউক্রেনের কিয়েভে। আর সেখানে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। ইউক্রেনকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি ৪৪ মিনিটে করেছেন মিকোলা শাপারেঙ্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। দলকে হারের হাত থেকে বাঁচানো গোলটি ৫১ মিনিটে করেছেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। ফ্রান্সের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। দলকে বাঁচানো গোলটি দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫ বছরের গোল-খরা কাটিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড। ফ্রান্সের হয়ে সর্বশেষ গোলটি তিনি করেছিলেন ২০১৬ সালে।

মার্শিয়ালে দলকে সমতায় ফেরানোর পর এগিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় ফ্রান্স। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় বল ইউক্রেনের জালে জড়ানো হয়নি দেশমের দলের। কখনো আবার ইউক্রেনের গোলকিপার পিয়াতভের ভালো কিছু সেভও হতাশ করেছে ফ্রান্সকে। ভাগ্যও অবশ্য বঞ্চিত করেছে করিম বেনজেমা-মুসা দিয়াবিদের। দ্বিতীয়ার্ধেই বেনজেমার পাস থেকে নেওয়া দিয়াবির শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

ফ্রান্সকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেছেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল (বাঁয়ে)

এই ড্রয়ে অবশ্য ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপে ফ্রান্সের অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে তারা। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ফিনল্যান্ড। ৫ ম্যাচ থেকে ফিনল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ইউক্রেন আছে তৃতীয় স্থানে। ২ পয়েন্ট নিয়ে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা আছে চতুর্থ স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে কাজাখস্তান সবার নিচে।

ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের হতাশা

ফ্রান্সের কোচ দেশম অবশ্য হতাশ তাঁর দলের প্রথমার্ধের খেলা নিয়ে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তুলনামূলক ভালো খেলেছি। খারাপ লাগছে যে একটি গোলের সুযোগ মিস করার পরের মুহূর্তেই আমরা গোলটি খেয়েছি। টানা ম্যাচ খেলে যাওয়াটা অবশ্য খেলোয়াড়দের জন্য একটু কঠিন। তবে আমি কোনো অজুহাত খুঁজছি না।’ পাঁচ বছর পর ফ্রান্সের জার্সিতে গোল পাওয়া মার্শিয়াল ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমাদের জন্য ম্যাচটি কঠিন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটিতে সমতা আনতে পেরেছি।’