জয়ের আনন্দে লাইপজিগ
জয়ের আনন্দে লাইপজিগ

চ্যাম্পিয়নস লিগ

কোচ ছাঁটাই করেই সিটিকে হারিয়ে দিল লাইপজিগ

দুদিন আগেই কোচ জেসি মার্শকে ছাঁটাই করেছে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ। ইউলিয়ান নাগলসমানের উত্তরসূরি হিসেবে সেভাবে দলকে ভালো ফলাফল এনে দিতে পারছিলেন না যুক্তরাষ্ট্রের এই কোচ। যার মাশুল দিয়েছেন চাকরি হারিয়ে।

মার্শকে ছাঁটাই করার পর আজই প্রথম খেলতে নেমেছিল লাইপজিগ, তাও আবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। কোচকে ছাঁটাই করেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাঁরা। সিটিকে হারিয়েছে ২-১ গোলে।

হতাশ পেপ গার্দিওলা

শুরু থেকেই বেশ আক্রমণ করে খেলছিল লাইপজিগ। ওদিকে মূল একাদশের বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়ে মাঠে নামা সিটির রক্ষণভাগও লাইপজিগের আক্রমণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের গোলকিপার জ্যাক স্টেফেনকে বেশ কয়েকটা দুর্দান্ত সেভ করতে হয়েছে। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি তেমন।

২৩ মিনিটেই হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার দমিনিক জবোস্লাইয়ের গোলে এগিয়ে যায় লাইপজিগ। ৪০ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পান ইংলিশ মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন, কিন্তু তাঁর শট পোস্টে লাগে। ৪৪ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার এক ফ্রি-কিকও একটুর জন্য আটকে দেন লাইপজিগের গোলকিপার পিটার গুলাকসি।

রাতটা হতাশই কেটেছে ডি ব্রুইনাদের

৭১ মিনিটে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভা। এর পাঁচ মিনিট পরেই গোল করে দলকে আশা দেখান সিটির আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে পাঁচ গোল করা হয়ে গেল মাহরেজের।

গোল শোধ করতে হবে, এই উত্তেজনা থেকেই কি না, ৮২ মিনিটে উলটো লাল কার্ড দেখলেন সিটির রাইটব্যাক কাইল ওয়াকার। এই লাল কার্ডের কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না ওয়াকার। শেষমেশ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাইপজিগ।

এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে উঠেছে সিটি ও পিএসজি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সিটি উঠেছে প্রথম দল হয়ে, ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল পিএসজি।