চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপে সবচেয়ে বেশি শিরোপা রিয়াল মাদ্রিদের। ফাইনালের ব্যক্তিগত অর্জনেও এগিয়ে স্প্যানিশ ক্লাবটির খেলোয়াড় ও কোচরা।
১৩ বার ইউরোপ–সেরা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর প্রথম ছয়টিতেই খেলেছেন ফ্রান্সিসকো (পাকো) হেন্তো। খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের রেকর্ড এই স্প্যানিশ তারকারই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি শিরোপা জিতেছেন চারজন। এবার রিয়াল চ্যাম্পিয়ন হলে শিরোপা জেতায় দুইয়ে উঠে আসবেন গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমা, দানি কারভাহাল, ইসকো, মার্সেলো ও লুকা মদরিচ।
৬ ফ্রান্সিসকো হেন্তো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৫ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ হোসে মারিয়া জারাগা (রিয়াল মাদ্রিদ)
চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
৫ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা)
৪ ইসকো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ লুকা মদরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ সের্হিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ ক্লারেন্স সিডর্ফ (আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান)
** আরও ছয়জন খেলোয়াড় চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তবে তাঁরা মাঠে নেমেছেন তিনটি ফাইনালে।
সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতার মতো সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ডও ফ্রান্সিসকো হেন্তোর। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে আটটি ফাইনাল খেলেছেন জেন্তো। এসি মিলানের পাওলো মালদিনি পরে ভাগ বসিয়েছেন হেন্তোর রেকর্ডে।
৮ ফ্রান্সিসকো হেন্তো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৮ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৭ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
৬ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ প্যাট্রিস এভরা (মোনাকো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস)
৫ ক্লারেন্স সিডর্ফ (আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান)
৫ এডউইন ফন ডার সার (আয়াক্স, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও ফেরেঙ্ক পুসকাসের। দুজনই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাতটি করে গোল করেছেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত প্রতিটি ফাইনালে একটি করে গোল করা ডি স্টেফানো ১৯৬০ সালে ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। ওই ফাইনালেই চারটি গোল করেছিলেন হাঙ্গেরিয়ান মহাতারকা পুসকাস।
৭ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৭ ফেরেঙ্ক পুসকাস (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ ইউসেবিও (বেনফিকা)
৩ সান্দ্র মাজোলা (ইন্টার মিলান)
৩ গার্ড মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ)
৩ পিয়েরিনো প্রাতি (এসি মিলান)
৩ হেক্টর রিয়াল (রিয়াল মাদ্রিদ)
চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
৪ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ স্যামুয়েল ইতো (বার্সেলোনা)
২ ফিলিপ্পো ইনজাগি (এসি মিলান)
২ দানিয়েলে মাসারো (এসি মিলান)
২ লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
২ সের্হিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ রাউল (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ মারিও মানজুকিচ (বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস)
২ হেরনান ক্রেসপো (এসি মিলান)
২ দিয়েগো মিলিতো (ইন্টার মিলান)
২ কার্ল-হাইঞ্জ রিডল (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)
১৯৬০ সালের ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে চার গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের ফেরেঙ্ক পুসকাস। ওই ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে কেউ হ্যাটট্রিক পাননি ফাইনালে।
ফাইনালে যত হ্যাটট্রিক––––––––––
৪ ফেরেঙ্ক পুসকাস (রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, ১৮/০৫/১৯৬০)
৩ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, ১৮/০৫/১৯৬০)
৩ পিয়েরিনো প্রাতি (এসি মিলান-আয়াক্স, ২৮/০৫/১৯৬৯)
এবার রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন হলে কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বেন কার্লো আনচেলত্তি। দলকে তিনবার চ্যাম্পিয়ন করে বব পেইসলি ও জিনেদিন জিদানের সঙ্গে রেকর্ডটা এখন ভাগাভাগি করছেন ইতালিয়ান কোচ।
৩ বব পেইসলি (লিভারপুল ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১)
৩ কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪)
৩ জিনেদিন জিদান (রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮)
* পঞ্চমবারের মতো দলকে ফাইনালে উঠিয়ে এরই মধ্যে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন কার্লো আনচেলত্তি। ইয়ুর্গেন ক্লপ চতুর্থবার ফাইনালে উঠলেন।
৫ কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪, ২০২২)
৪ মার্সেলো লিপ্পি (জুভেন্টাস ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০৩)
৪ অ্যালেক্স ফার্গুসন (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৯৯৯, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১)
৪ মিগুয়েল মুনোজ (রিয়াল মাদ্রিদ ১৯৬০, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৬)
৪ ইয়ুর্গেন ক্লপ (ডর্টমুন্ড ২০১৩, লিভারপুল ২০১৮, ২০১৯, ২০২২)
কোচ হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার একমাত্র কীর্তি জিনেদিন জিদানের (রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮) । টানা দুই বছর শিরোপা জেতার কীর্তি আছে ৯ কোচের।
পাঁচজন কোচ একাধিক ক্লাবের হয়ে ইউরোপ–সেরা হয়েছেন। প্রত্যেকেই দুটি ক্লাবকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ।
কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪)
আর্নস্ট হাপেল (ফেইনুর্ড ১৯৭০, হামবুর্গ ১৯৮৩)
ইয়ুপ হেইঙ্কেস (রিয়াল মাদ্রিদ ১৯৯৮, বায়ার্ন মিউনিখ ২০১৩)
ওটমার হিটজফিল্ড (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৯৯৭, বায়ার্ন মিউনিখ ২০০১)
জোসে মরিনিও (পোর্তো ২০০৪, ইন্টার মিলান ২০১০)
সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতার তালিকায় দুইয়ে ওঠার সুযোগ লিভারপুলের। এবার চ্যাম্পিয়ন হলেই এসি মিলানকে ছুঁয়ে ফেলবে ইংলিশ ক্লাবটি।
সবচেয়ে সফল দলটির দখলেই সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ড। এবারের আগে ১৬ বার ফাইনাল খেলে ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
১৭ রিয়াল মাদ্রিদ
১১ এসি মিলান
১১ বায়ার্ন মিউনিখ
১০ লিভারপুল
৯ জুভেন্টাস
১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান কাপের প্রথম পাঁচ আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
৫ রিয়াল মাদ্রিদ (১৯৫৫/৫৬-১৯৫৯/৬০)
৩ আয়াক্স (১৯৭০/৭১-১৯৭২/৭৩)
৩ বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৩/৭৪-১৯৭৫/৭৬)
৩ রিয়াল মাদ্রিদ (২০১৫/১৬-২০১৭/১৮)
টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথেই টানা ফাইনাল খেলার রেকর্ডটাও করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আর কোনো দল টানা তিনবারের বেশি ফাইনালে উঠতে পারেনি।
৫ রিয়াল মাদ্রিদ (১৯৫৫/৫৬-১৯৫৯/৬০)
৩ এসি মিলান (১৯৯২/৯৩-১৯৯৪/৯৫)
৩ আয়াক্স (১৯৭০/৭১-১৯৭২/৭৩)
৩ বেনফিকা (১৯৬০/৬১-১৯৬২/৬৩)
৩ বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৩/৭৪-১৯৭৫/৭৬)
৩ জুভেন্টাস (১৯৯৫/৯৬-১৯৯৭/৯৮)
৩ রিয়াল মাদ্রিদ (২০১৫/১৬-২০১৭/১৮)
৭-৩ রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (১৮/০৫/১৯৬০)
৪-০ বায়ার্ন মিউনিখ-আতলেতিকো মাদ্রিদ (১৭/০৫/১৯৭৪)
৪-০ এসি মিলান-স্টুয়া বুখারেস্ট (২৪/০৫/১৯৮৯)
৪-০ এসি মিলান-বার্সেলোনা (১৮/০৫/১৯৯৪)
সবচেয়ে বেশি বয়সে ফাইনাল
৪১ বছর ৮৬ দিন দিনো জফ (হামবুর্গ ১-০ জুভেন্টাস, ১৯৮২/৮৩)
সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল
৩৬ বছর ৩৩৩ দিন পাওলো মালদিনি (এসি মিলান ৩-৩, অতিরিক্ত; টাইব্রেকারে
লিভারপুল জয়ী ৩-২, ২০০৪/০৫)
সবচেয়ে বেশি বয়সী চ্যাম্পিয়ন
৩৮ বছর ৩৩১ দিন পাওলো মালদিনি (এসি মিলান ২-১ লিভারপুল, ২০০৬/০৭)
ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ
১৮ বছর ১৩৯ দিন আন্তোনিও সিমোস (বেনফিকা ৫-৩ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৬১/৬২)
সবচেয়ে কম বয়সে গোল
১৮ বছর, ৩২৭ দিন প্যাট্রিক ক্লাইভার্ট (আয়াক্স ১-০ এসি মিলান, ১৯৯৪/৯৫)
সবচেয়ে কম বয়সী চ্যাম্পিয়ন
১৮ বছর ১৩৯ দিন আন্তোনিও সিমোস (বেনফিকা ৫-৩ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৬১/৬২)