ইতালীয় কোচ ফাবিও লোপেজ বাংলাদেশের ফুটবলে ১৬ তম বিদেশি কোচ। ফুটবল ঐতিহ্য যা-ই হোক না কেন, বিদেশ থেকে কোচ আনা আর সেই কোচকে কিছু দিনের মধ্যেই বিদায় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের খ্যাতি প্রবাদতুল্য। এখনো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে (ইউরোপীয় দেশগুলো থেকেই বেশি) বাংলাদেশে আসা কোচদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনের বিদায়ই স্বস্তিকর হয়েছে। ফুটবল প্রশাসকদের সঙ্গে মনোমালিন্য আর নানামুখী বিতর্কের মধ্য দিয়েই সমাপ্তি ঘটেছে বেশির ভাগ কোচের চাকরি। প্রিয় পাঠক, আসুন স্মৃতির পাতা ঘেঁটে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত কাজ করে যাওয়া বিদেশি কোচদের গল্পে...
ওয়ার্নার বেকেলহফট (১৯৭৮-১৯৮১)
স্বাধীনতার পর দেশি কোচরাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ১৯৭৮ সালে ফিফার আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশে আসেন জার্মান কোচ ওয়ার্নার বেকেলহফট। তিনি ছিলেন বেশ উঁচু দরের একজন কোচ। বেকেলহফটের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৯৮০ সালের ইতিহাসে প্রথম ও এখনো পর্যন্ত শেষবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়। তাঁর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল আটাত্তরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় যুব অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতা। ২৪টি দেশকে নিয়ে সেবার ঢাকায় সেই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বেকেলহফটের কোচিংয়ে সেই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ আশা জাগানিয়া। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বেকেলহফট বাংলাদেশে ছিলেন।
গেরহার্ড স্মিথ (১৯৮২)
খুব উঁচুমানের কোচ ছিলেন এই জার্মান ভদ্রলোক। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলারদের দুর্ভাগ্য তিনি খুব স্বল্প মেয়াদেই কাজ করতে এসেছিলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ-জার্মানি সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনেই হয়েছিল তাঁর বাংলাদেশে আসা। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসের আগে মাত্র আড়াই-তিন মাস তিনি বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে এশিয়ান গেমসে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার ছিল ন্যূনতম ব্যবধানে (১-০)।
নাসের হেজাজী (১৯৮৯)
১৯৮২ থেকে ১৯৮৯—এই সাত বছর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য কোনো বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কাজী সালাউদ্দিন, আবদুর রহিম, আলী ইমাম, গোলাম সারোয়ার টিপুদের হাতেই ঘুরে-ফিরে তুলে দেওয়া হতো জাতীয় দলের দায়িত্ব। ১৯৮৭ সালে মোহামেডান কোচ কাম গোলরক্ষক হিসেবে ইরান থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় নাসের হেজাজীকে। ১৯৭৮ সালে ইরানের হয়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ খেলা এই হেজাজী ইরান তো বটেই এশিয়ারও অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর অধীনে দেশের আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে মোহামেডান। ১৯৮৭-৮৯ হেজাজী মোহামেডানকে পরিণত করেন সর্বজয়ী দলে। এই সময় দুবার লিগ শিরোপা জয় করে মোহামেডান, একবার জয় করে ফেডারেশন কাপ। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তিনি মোহামেডানকে সাফল্য এনে দেন। ১৯৮৮ সালে মোহামেডান খেলে এশিয়ান ক্লাব কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে। তাঁর অধীনে মোহামেডান উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫ ক্লাবকে হারায়, হারায় ইরানের পিরুজি ক্লাবকে। কাতারের আল-সাদের মতো ক্লাবের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে একটি ম্যাচে। এসব দেখেই ১৯৮৯ সালে ইসলামাবাদ সাফ গেমসকে সামনে রেখে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তিনি সাফ-সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হন। দুর্দান্ত এক দল নিয়েও বাংলাদেশ ইসলামাবাদ সাফের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় শেষ মুহূর্তের গোলে। সাফ গেমসের পর অবশ্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে।
ওল্ডরিখ সোয়াব (১৯৯৩)
১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ষষ্ঠ সাফ গেমস। অনেকবার সাফ ফুটবলের সোনা অধরা থেকেছে, ঘরের মাঠে সাফল্য পেতেই হবে—এমন একটি ভাবনা থেকেই তখন জাতীয় দলের জন্য একজন ভালো মানের বিদেশি কোচ খোঁজা হচ্ছিল। সমস্যার সমাধান করে দেন সে বছর বাংলাদেশ সফরে আসা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি হুয়ান সামারাঞ্চ। বাংলাদেশকে তিনি উপহার হিসেবে দেন ওল্ডরিখ সোয়াব নামের এই সুইস ফুটবল কোচকে। নাহ্, সোয়াব জাতীয় দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। তাঁর অধীনেই ঘরের মাঠে ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। ছয় দলের মাঝে অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। মালদ্বীপের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর নেপালের কাছে হেরে সাফ থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাঁর অধীনে অবশ্য মিয়ানমারের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। তিনি বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন। তারকা খেলোয়াড়দের পজিশন পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে দেশের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে অনেকের মতেই সাফল্য না পেলেও সোয়াব ছিলেন যেকোনো বিচারেই অনেক উঁচুমানের একজন কোচ। তাঁর সবচেয়ে বড় ‘সমস্যা’ ছিল, এদেশের ফুটবলের ‘সিস্টেমে’র সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারা।
ম্যান ইয়াং ক্যাং (১৯৯৫)
সোয়াবের পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোচকে নিয়ে আসা হয়। খুব উঁচু মানের কোচ যে ক্যাং ছিলেন, এ কথা বলেন না কেউই। তবে তিনি কোচ হিসেবে জোর দিতেন ফিটনেস ট্রেনিংয়ে। তাঁর কঠোর ফিটনেস ট্রেনিংয়ে সে সময় হাঁপিয়ে উঠতেন জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ই। ১৯৯৫ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সার্ক গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতায় (এখনকার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) তাঁর অধীনে খেলেছিল বাংলাদেশ। সাফল্য আসেনি। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরেই বিদায় ঘটেছিল বাংলাদেশের। প্রতিযোগিতার পর বিদায় ঘটে যায় ক্যাংয়েরও। পরে তিনি ঘরোয়া ফুটবলে মোহামেডানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর অধীনে ১৯৯৬ সালে মোহামেডান লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছিল।
অটো ফিস্টার (১৯৯৫-৯৭)
যেকোনো বিচারেই বাংলাদেশে কাজ করতে আসা সর্বশ্রেষ্ঠ কোচ এই অটো ফিস্টার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই জার্মান ভদ্রলোককে বাংলাদেশে আনতে একটি পয়সাও খরচ করতে হয়নি বাফুফেকে। বাংলাদেশে আসার আগেই ঘানাকে বিশ্ব যুব কাপের শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশে এসেও প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে নভেম্বরে মিয়ানমারে একটি চারজাতি প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমারকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সে বছরের ডিসেম্বরেই অবশ্য ব্যর্থতার কালিমা লাগে তাঁর শরীরে। মাদ্রাজ (এখনকার চেন্নাই) সাফ গেমসের ফুটবল ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরে যায়। অভিযোগ আছে, অভিজ্ঞ এই কোচকে কাজ না দিয়ে নিষ্ক্রিয় বসিয়ে রাখার। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে ফিস্টার নিজেই এই অভিযোগ তুলেছিলেন। ১৯৯৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাই প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ (গ্রুপে ছিল ইরাক, জর্ডান আর পাকিস্তান)। বাফুফের সেই সিদ্ধান্ত পছন্দ করতে পারেননি ফিস্টার। ১৯৯৭ সালে তাঁর অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে বাংলাদেশ ছিল গড়পড়তা। ১৯৯৭ সালে কাঠমান্ডু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আবার ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। বিদায় ঘণ্টা বাজে এই জার্মান কোচের। বাংলাদেশ থেকে ফিরেই সৌদি আরবের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফিস্টার। আটানব্বইয়ের বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কোয়ালিফাই করাটা তাঁর হাত দিয়েই। ২০০৬ বিশ্বকাপে ফিস্টার আফ্রিকান দল টোগোর কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
সামির শাকির (১৯৯৮-৯৯)
ইরাকের বিশ্বকাপ (১৯৮৬) দলে অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। দেশটির ফুটবল ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ঢাকা মাঠে খেলে যাওয়া সেরা বিদেশি ফুটবলারদের একজন (১৯৮৭ সালে আবাহনীতে) এই সামির শাকির। ১৯৯৮ সালে তাঁর সুনামের কারণেই জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। তিনি বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন অধরা সাফ গেমসের সোনার পদক। ১৯৯৯ সালে আবুধাবিতে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বেও তাঁর অধীনে ভালো খেলেছিল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ট্যাকটেশিয়ান এই সামির শাকিরের সমালোচনা ছিল, তাঁর অতিমাত্রার রক্ষণাত্মক ফুটবলের কৌশল নিয়ে। সামির শাকিরই খুব সম্ভবত বাংলাদেশ জাতীয় দলের একমাত্র কোচ, যাঁর বিদায় মোটামুটি স্বস্তিদায়ক ছিল। ফিফা ও এএফসি জাতীয় দলের কোচদের জন্য বিভিন্ন লাইসেন্স সনদ বাধ্যতামূলক করলে সামির শাকিরকে সরে যেতে হয়। কোচিং পেশায় তিনি ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না।
মার্ক হ্যারিসন (২০০০)
২০০০ সালে কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই ইংরেজ। বেশিদিন টিকতে পারেননি। এদেশের ফুটবল-ব্যবস্থা তাঁকে প্রথম থেকেই পীড়া দিত। মালদ্বীপে একটি চারজাতি প্রতিযোগিতা আর ইংল্যান্ডে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ-মার্ক হ্যারিসনের দায়িত্ব ছিল এ পর্যন্তই। মালদ্বীপে শ্রীলঙ্কার কাছে হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। মোটকথা এই কোচকে বিদায় জানিয়ে দিয়েই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল বাংলাদেশ।
জর্জ কোটান (২০০১-২০০৩)
অস্ট্রিয়ান এই কোচও ছিলেন অত্যন্ত উঁচুমানের। কোটান ২০০৩ সালে দেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এনে দিয়েছিলেন। অনেকের মতে এই কোটানের অধীনেই বাংলাদেশ তাঁর ইতিহাসের সেরা ফুটবল উপহার দিয়েছিল দর্শকদের। ২০০১ সালে তিনি সৌদি আরবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দেশের ফুটবল কাঠামো নিয়ে তাঁর বিরক্তি থাকলেও তাঁর ব্যক্তিত্ব দিয়েই তিনি সেসব সমস্যা সামলে নিতেন। কোটান ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান একজন কোচ।
আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি (২০০৫-০৬)
অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল এই আর্জেন্টইন কোচকে। তাঁর অধীনে বেশ ট্যাকটিক্যাল ফুটবল উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রুসিয়ানি সাফল্য এনে দিতে পারেননি। ২০০৫ সালে করাচির সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে উঠলেও ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে দেশের মাটিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ৬-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।
এডসন সিলভা ডিডো (২০০৮-০৯)
খ্যাপাটে এই কোচ এসেছিলেন ব্রাজিল থেকে। বাংলাদেশের আগে ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা এই ডিডোর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়াতেই যত বিপত্তি। বাফুফের সঙ্গেও তাঁর নানা ব্যাপারে লেগেই থাকত। ২০০৯ সালের দিকে জাতীয় দল থেকে একসঙ্গে নয় খেলোয়াড়কে বের করে দেন তিনি। ব্যাপারটি মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ফুটবল ফেডারেশন। তাঁর বিদায় ঘটে সঙ্গে সঙ্গেই।
রবার্ট রুবচিচ (২০১০-১১)
ক্রোয়েশিয়ার এই কোচ হঠাৎ এসে হঠাৎই অতীত হয়ে যান বাংলাদেশের ফুটবলে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রাক-বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একটি ম্যাচ খেলতে লাহোর যাওয়া নিয়েই সমস্যা তৈরি হয় তাঁর সঙ্গে। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তিনি পাকিস্তানে যাননি। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু না বলে তিনি ছেড়ে দেন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বও।
নিকোলাই ইলিয়ভস্কি (২০১১)
মেসিডোনিয়ান এই কোচের অধীনেই ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লেবাননকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
ইলিয়ভস্কি চলে যাওয়ারও দেড় বছর পর বাংলাদেশে এসেছিলেন লোডভিক ডি ক্রুইফ। তাঁর আড়াই বছরের সময়কালও সুখের হয়নি। এদেশের ফুটবলে বিদেশি কোচদের আসা-যাওয়ার চিরন্তন খেলায় ক্রুইফ কেবল একটি সংখ্যাই যোগ করেছেন।
এই সংখ্যা আর কত বাড়বে কে জানে!