>করোনা-আতঙ্কে যে যেভাবে পারছেন বাইরে না গিয়ে নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখছেন। বাদ যাননি ফুটবলাররাও। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের গৃহবন্দী জীবন ভালো লাগছে না
কিছুদিন আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মা কে দেখতে গিয়ে শুনলেন করোনাভাইরাস আঘাত হানার খবর। ব্যস, নিজের শহর পর্তুগালের মাদেইরার বাড়িতেই থাকা শুরু করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সঙ্গে তাঁর পরিবার, বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজও। কিন্তু পর্তুগিজ তারকা নিজেকে বাড়িতে আটকে রাখলেও জর্জিনাকে আটকাতে পারেননি। সেদিন তাঁকে দেখা গেল পর্তুগালের ফুনচালের একটি মলে কেনাকাটা করতে।
পেছনে লেগে থাকা পাপারাজ্জিরা সে ছবি তুলতে ভুল করেননি মোটেও। ফলে সরগরম হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অধিকাংশই বিরক্ত জর্জিনার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে যেখানে নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখা অত্যন্ত জরুরি, জরুরি মানবসংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, সেখানে জর্জিনা নিজেই নিয়মটা মানছেন না! রোনালদো নিজেও তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে বাসায় বসে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের সঙ্গীর আহ্বান নিজেই বেমালুম ভুলে গেলেন আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ মডেল!
পর্তুগিজ সরকারেও নির্দেশনা আছে, প্রয়োজনীয় উপকরণের কেনাকাটা ছাড়া অন্য কিছুর জন্য বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। তা মানতে জর্জিনার বয়েই গেছে!
এদিকে রোনালদো তাঁর গোটা পরিবার নিয়ে পর্তুগালের মাদেইরাতে নিজের বিরাট বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে নিয়মিত সতর্ক করে যাচ্ছেন করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে।
জুভেন্টাসের পাওলো দিবালা, ব্লেইজ মাতুইদি ও দানিয়েলে রুগানি এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজের করোনা-সংক্রমণের খবর কাল জানিয়েছেন দিবালা। শুধু দিবালাই নন, তাঁর বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাতিনিও করোনায় আক্রান্ত। ইনস্টাগ্রামে আজ খবরটা দিয়েছেন দিবালা নিজেই, ‘ সবাইকে জানাতে চাই যে মাত্রই কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছি। আমি ও ওরিয়ানা দুজনই পজিটিভ। সৌভাগ্যবশত, আমরা দুজনই শারীরিকভাবে একেবারে ঠিকঠাক আছি। আপনাদের বার্তার জন্য ধন্যবাদ।’
দিবালার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটা অবশ্য বিবৃতিতে জানিয়েছে জুভেন্টাসও, ‘পাওলো দিবালা মেডিকেল-পরীক্ষা করিয়েছেন, যেটিতে তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া গেছে। ১১ মার্চ বুধবার থেকেই তিনি বাড়িতে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি সুস্থ আছেন, কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না তাঁর শরীরে।’
সতীর্থদের ভাগ্য যেন নিজেকে বরণ না করতে হয়, সে কারণেই আগেভাগে রোনালদোর এত সতর্কতা। কিন্তু নিজের বান্ধবী তো সেটি মানছেন না।