কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলার

কামড়-কাণ্ডের নতুন সদস্য ও’হারা। ফাইল ছবি
কামড়-কাণ্ডের নতুন সদস্য ও’হারা। ফাইল ছবি
>

ম্যাচে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি হয়তো। মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে শেষমেশ কামড়ই দিয়ে বসলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এক ফুটবলার

কিয়েরান ও’হারার জীবনে হতাশার মাত্রাই বেশি।

ম্যানচেস্টারে জন্ম নিয়েছেন। ২০১২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমিতে যখন যোগ দিলেন, চোখে হয়তো হাজারো স্বপ্নের আনাগোনা ছিল তাঁর। হয়তো ভেবেছিলেন, একদিন ইউনাইটেডের মূল গোলরক্ষক ডেভিড ডে হেয়াকে সরিয়ে হবেন নতুন নাম্বার ওয়ান। কিন্তু স্বপ্নের সঙ্গে সামর্থ্যের মেলবন্ধন হয়েছিল সামান্যই। ২০১৪ সালে মূল দলে উত্তীর্ণ হলেও পগবা-মার্সিয়ালদের সতীর্থ হওয়া হয়নি তাঁর। উল্টো ইউনাইটেড তাঁকে ধারে পাঠিয়েছে একের পর এক ক্লাবে। গত সাত মৌসুমে আলাদা আলাদা সাতটি ক্লাবে ধারে খেলতে গিয়েছেন ও হারা।

সর্বশেষ যোগ দিয়েছেন বুরটন আলবিওনে। সেখানেই ঘটিয়েছেন আরেক কাণ্ড। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের হাত কামড়ে দিয়ে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সেদিন ইংল্যান্ডের তৃতীয় বিভাগ লিগ ওয়ানের এক খেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। মাঠে নেমেছিল ও’হারার বুরটন ও পিটারবরো ইউনাইটেড। ম্যাচের ৪৪ মিনিটেই পিটারবরোর স্ট্রাইকার স্যামি স্মোদিকসের হাতে কামড়ে দেন ও’হারা। ব্যস, আর যায় কোথায়!

কামড় দেওয়ার কাণ্ডে সবচেয়ে বড় শাস্তি সুয়ারেজকেই পেতে হয়েছিল। ফাইল ছবি

খেলার মাঠে অগ্রহণযোগ্য আচরণ করার জন্য ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে আরও আড়াই হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখ ৭৭ হাজার টাকার মতো জরিমানা পরিশোধ করতে হবে ও’হারাকে।

ইউনাইটেডের হয়ে এখনো মাঠে না নামলেও ও’হারা আয়ারল্যান্ডের হয়ে এর মধ্যেই দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ম্যানচেস্টারে জন্ম হলেও হয়তো বুঝেছিলেন, জর্ডান পিকফোর্ড-নিক পোপ-ডি হেন্ডারসনদের হটিয়ে ইংল্যান্ডের মূল গোলরক্ষক হওয়া তাঁর কম্মো নয়!

খেলার মাঠে কামড় দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এক লুইস সুয়ারেজই কামড়েছেন তিনবার। আয়াক্সে থাকার সময় পিএসভির ওটমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। এরপর লিভারপুলে থাকার সময় চেলসির ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচ শিকার হয়েছিলেন তাঁর কামড়ের। এমনকি উরুগুয়ের হয়ে খেলতে নেমেও ইতালির কিয়েলিনিকে ২০১৪ বিশ্বকাপে কামড়ে দিয়েছিলেন তিনি।