মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকেই গোলকিপারের গ্লাভস নিয়ে করতে হলো গোলকিপিং।
মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকেই গোলকিপারের গ্লাভস নিয়ে করতে হলো গোলকিপিং।

করোনায় মিডফিল্ডারকে গোলে দাঁড় করিয়ে জিতল রিভারপ্লেট

করোনাভাইরাস মহামারির ছোবল সইতে হচ্ছে ফুটবল ক্লাবগুলোকেও। খেলোয়াড়েরা কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় অনেক সময় দল গড়াই কঠিন হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে বলিভিয়ার ক্লাব ফুটবলে এমন ঘটনা ঘটেছে। ৭ জন নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছিল রয়্যাল পারি নামের বলিভিয়ান ক্লাবটি। তার আগে ইকুয়েডরের ক্লাব ফুটবলেও অকাস নামের এক ক্লাব ৭ জনের দল নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছিল। দুটি দল টিকতে পেরেছিল যথাক্রমে ১৮ ও ৭ মিনিট। কিন্তু কাল দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা লিবার্তোদোরেসে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটিয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট। করোনা মহামারি এবং চোটের সমস্যায় নিয়মিত গোলকিপার ও বেঞ্চে কোনো খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নেমে কলম্বিয়ার ক্লাব ইন্দেপেন্দিয়েন্তে সান্তা ফের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নেয় রিভার প্লেট।

আর্জেন্টিনায় করোনা মহামারি বেড়েই চলছে। এই প্রকোপে রিভার প্লেটের ২০ খেলোয়াড় কোভিড পজিটিভ হন। এর বাইরে কয়েকজনের চোটের সমস্যাও ছিল। দলে ফিট খেলোয়াড় ছিলেন ওই একাদশের ১১ জনই। তাদের নিয়েই বুয়েনস এইরেসে কলম্বিয়ান ক্লাবটির মুখোমুখি হতে হয় রিভার প্লেটকে। মূল দলের চার গোলকিপারই ছিলেন কোভিড পজিটিভের তালিকায়। যুব দল থেকে দুজন গোলকিপার নিতে চেয়েছিল রিভার প্লেট। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করে দেয় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। ম্যাচ পেছানোর আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়।

সাকল্যে ১১ জন খেলোোড় নিয়ে খেলে জিতল রিভারপ্লেট।

শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই মাঠে নামতে হয় রিভার প্লেটকে। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা আর্জেন্টিনা দলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এনজো পেরেজ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। রিভার প্লেট কোচ মার্সেলো গ্যালার্দো ৩৫ বছর বয়সী পেরেজের হাতে গোলকিপিং গ্লাভসের তুলে দেন। মজার ব্যাপার, একজন মিডফিল্ডারকে গোলকিপার হিসেবে পেয়েও কলম্বিয়ান ক্লাবটি কিন্তু পেরেজকে তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেনি। কোপা লিবার্তোদোরেসে চারবারের চ্যাম্পিয়ন রিভার প্লেটে খেলা পেরেজ দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন এই ‘নতুন দায়িত্ব’।

গোলকিপিংটা মন্দ করেননি মিডফিল্ডার পেরেজ।

ম্যাচের ৩ মিনিটে ফ্যাব্রিজিও আনজিলিয়েরির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিভার প্লেট। এর ৩ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল এনে দেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৩ মিনিটে কেলভিন ওসোরিওর গোলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল সান্তা ফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। সান্তা ফের পাঁচ খেলোয়াড়ও কোভিড পজিটিভ ছিলেন। ১৫ বছর বয়সী কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার হোলমান ম্যাকরমিককে বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছিল তারা। কোপা লিবার্তোদোরেসে এবারের সংস্করণে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি সান্তা ফে। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠল রিভার প্লেট।