ইউরোপের ছোট খাত অনেক দলকেই বাঁচিয়ে রেখেছে চেলসি। এবারের জানুয়ারির দলবদল শেষে জানা গেছে, ইউরোপের নান ক্লাবে ধারে আছেন ৪২ জন চেলসি খেলোয়াড়। দুটি স্কোয়াড বানিয়ে ফেলা যায়, ম্যাচ স্কোয়াড বানানো যায় তিনটি! খেলোয়াড় কিনে কিনে এমনই অবস্থা করেছে লন্ডনের ক্লাবটি। অভ্যাসে এবার একটু বিরতি দিতে হচ্ছে। চেলসিকে আগামী দুই দলবদলের মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।
চেলসির দোষটা নতুন কিছু নয়। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ—সবাই এ দোষ করে শাস্তি পেয়েছে। সবাই এক বা একাধিক দলবদলে খেলোয়াড় কেনার সুযোগ হারিয়েছে তারা। চেলসির জন্যও নতুন কিছু নয় এটা। ২০০৯ সালেও এমন নিষেধাজ্ঞা জুটেছিল তাদের। সেবার আপিল করে শাস্তি কমিয়েছিল তারা। এবারও সে সুযোগ থাকছে তাদের, ফিফার কাছে নিজেদের যুক্তি দেখাতে পারলে এবারও শাস্তি কমার সুযোগ রয়েছে।
চেলসির দোষটা খোলাসা করে বলা দরকার। স্প্যানিশ তিন দলের মতোই ১৮ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়দের দলে টানার ক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গ করেছে ক্লাবটি। বিদেশি কিশোর ফুটবলারদের দলে টানার ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম মানতে হয় ক্লাবগুলোকে। ফুটবলারের অভিভাবকদের অন্তত একজনের থাকা নিশ্চিত করা, তাদের সে দেশে আসার পেছনে সন্তান ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটাও দেখে ফিফা। তিন বছর ধরে চেলসির দলবদল নিয়ে তদন্ত করেছে ফিফা। তাতে ১৮ বছরের কমবয়সীদের দলবদলের ২৯টি ঘটনায় অনিয়ম পেয়েছে ফিফা। আগামী দুইটি দলবদল কোনো খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে না চেলসি। সে সঙ্গে ৪ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। চেলসিকে তাদের যুক্তি উত্থাপনের জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
যদি শাস্তি কমাতে ব্যর্থ হয় চেলসি তবে ২০২০ সালের জুনের আগ পর্যন্ত আর কোনো খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে না ক্লাবটি। তবে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক ঠিকই এবার দলে আসতে পারবেন। ডর্টমুন্ডের এ খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি এবারের জানুয়ারিতেই হয়ে গেছে চেলসির। তবে এ শাস্তির ঘটনায় এডেন হ্যাজার্ডের মন খারাপ হতেই পারে। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখা এই উইঙ্গারকে যে চেলসি কোনোভাবেই আর ছাড়তে রাজি হবে না এবারের জুনে।