ওজিল যখন রিয়ালে খেলতেন।
ওজিল যখন রিয়ালে খেলতেন।

ওজিলের যৌনজীবন নিয়েও কথা বলেছেন রিয়াল সভাপতি পেরেজ

এল কনফিদেনশিয়াল একবারে বোমা ফাটাতে রাজি নয়। বরং প্রতিদিন নতুন করে আঘাত দিতে চাইছে স্প্যানিশ পত্রিকাটি। একটু একটু করে প্রতিদিন ফাঁস করছে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বেফাঁস কথাবার্তার অংশ।

রিয়াল মাদ্রিদের যত কিংবদন্তিকে নিজের সভাপতিত্বের মেয়াদে পেয়েছেন, তাঁদের সবার সম্পর্কেই উল্টাপাল্টা কথা বলতে শোনা গেছে পেরেজকে। প্রথমে পেরেজের ফাঁস হওয়া অডিওতে ইকার ক্যাসিয়াস ও রাউল গঞ্জালেসের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার শোনা গেছে। এরপর পেরেজের মুখে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, জোসে মরিনিও, রোনালদো নাজারিওর নানা দোষের কথা শুনেছেন সবাই।

লুইস ফিগো, গুতির মতো খেলোয়াড়দেরও ছাড়েননি পেরেজ। রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কোচ দেল বস্ককেও পেরেজ কোচ বলেই মনে করেন না, সেটাও জানা গেছে এল কনফিদেনশিয়ালের সুবাদে। আজ অবশ্য একটু ভিন্ন দিকেই এগিয়েছে পত্রিকাটি। আজ তাঁদের অডিওতে পেরেজকে কথা বলতে শোনা গেছে মেসুত ওজিলকে নিয়ে। তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান এই মুসলিম ফুটবলারের যৌনজীবন নিয়েই বেশি আগ্রহী দেখাচ্ছে পেরেজকে।

রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ

২০১০ বিশ্বকাপের পর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন মেসুত ওজিল। সে সময়ে ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের আবির্ভাব দারুণ কাজে লাগিয়েছেন কোচ জোসে মরিনিও ও রোনালদো। সৃষ্টিশীল এই মিডফিল্ডার প্রতি–আক্রমণনির্ভর ফুটবলে দারুণ এক অস্ত্র ছিলেন মরিনিওর, তাঁর পাসে অনেক গোল পেয়েছেন রোনালদো। সেই ওজিলই পেরেজের আক্রমণের শিকার। অবশ্য যেখানে রিয়ালের কিংবদন্তিরাই পেরেজের কটু বাক্যের হাত থেকে বাঁচেননি, সেখানে তিন বছর খেলা ওজিলকে নিয়ে তো কটু কথা বলতেই পারেন পেরেজ।

তবে ২০১২ সালের ফাঁস হওয়া এই অডিওতে একটু ভিন্নতা আছে। এর আগে সব ফুটবলার ড্রেসিংরুমে কেমন আচরণ করেন কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কে কেমন, সে কথাই বলেছেন পেরেজ। কিন্তু ওজিলের ক্ষেত্রে কোনো সীমারেখায় নিজেকে আটকে রাখেননি। পেরেজকে বলতে শোনা গেছে, ‘২১ বছর বয়সে যখন ওজিল এল, ওর সঙ্গে একজন বান্ধবী ছিল। কিন্তু মাদ্রিদের জীবনযাত্রার মজার দিকটা ও খুব দ্রুত বুঝে গেল এবং জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে ফেলল। সে তার বান্ধবীকে বিদায় বলে দিল, ইতালির এক মডেলকে জুটিয়ে নিল। তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত বিমানে মজা করতে বের হতো কদিন পরপরই।’

পেরেজের ভাষ্যমতে মাঠের বাইরের ব্যাপারেও মরিনিওর মতামতকে গুরুত্ব দিতেন ওজিল

প্রশ্নবিদ্ধ এই আলোচনা এখানেও থামেনি। সাংবাদিক হোসে আন্তোনিও আবেয়ানকে কাছের মানুষ ভেবে সব আগল খুলে দিয়েছিলেন পেরেজ, ‘ওজিল মিলানের এক ইতালিয়ান মডেলের প্রেমে পড়ল। মরিনিও (২০১০ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে ইন্টার মিলানে ছিলেন এই কোচ) তখন ওজিলকে ডেকে বললেন, “তোমার এই বান্ধবী তো এসি মিলানের সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিছানায় সময় কাটিয়েছে, ইন্টার মিলানের সবার সঙ্গেও। এমনকি দলগুলোর কোচিং স্টাফও বাদ যায়নি।” আমার মনে হয়, এ কথার পর এই বান্ধবীকেও ত্যাগ করেছে ওজিল।’

ফাঁস হওয়া অডিওতে রিয়াল সমর্থকদের আরেক প্রিয়মুখ গুতির বিরুদ্ধেও কথা বলতে শোনা গেছে পেরেজকে। এই মিডফিল্ডারের ব্যাপারে বলেছেন, ‘গুতি লাজলজ্জাহীন। একটা বেকুব। সে নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু।’

ওজিল

এর আগে গতকাল ফাঁস হওয়া অডিওতে কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কের সমালোচনা করতে গিয়ে পেরেজ বলেছিলেন, ‘লুইস ফিগো (রিয়ালে) এল এবং রাউলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে গেল। তারা দুজন ফার্নান্দো হিয়েরোর সঙ্গে মিলে দল চালানো শুরু করল। বেচারা ভিসেন্তে, ওকে এখানে (রিয়ালে) মানায় না।’ আজ আরেকটি ফাঁস হওয়া অডিওতেও ফিগোর ব্যাপারে বিষোদ্‌গার শুনিয়েছেন পেরেজ।

মজার ব্যাপার, আগের ধারা বজায় রেখে এবারও জিদানের প্রশংসাই শোনা গেছে পেরেজের এই অডিওতে, ‘আমরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলছিলাম, কিন্তু ওই বদমাশগুলোর সেটা খেলতে ইচ্ছা হলো না। ফিগো ড্রেসিংরুম নষ্ট করে দিয়েছে। বদমাশ! সে আর রাউল সবচেয়ে বদমাশ ছিল। জিদান সবচেয়ে ভালো ছিল, কোনো সন্দেহ নেই।’