>কোয়ারেন্টিনে বসে বসে নিজের ওজন কমানোর কথা জানালেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান তারকা ইডেন হ্যাজার্ড।
চেলসি ছেড়ে এই মৌসুমের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদে যখন এলেন, তাঁর বাড়তি ওজন নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। একজন ফুটবলারের যেমন নির্মেদ গড়ন হওয়া দরকার, সেটা ছিল না এডেন হ্যাজার্ডের। মাঝে কিছুটা ঝরঝরে হয়ে ফিরেছিলেন বটে, কিন্তু আবার চোটে পড়ার পর আর করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার সময়টাতে ওজন কিছুটা হয়তো বেড়েছে। ফলে এখন ওজন কমানোর লড়াইয়ে নেমেছেন বেলজিয়ান প্লেমেকার।
মৌসুমের শুরুতে লম্বা ছুটি পেয়ে রিয়ালের হয়ে একটু দেরি করে অনুশীলনে ফিরেছিলেন হ্যাজার্ড। ছুটিটা যে বেশ উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর ভারিক্কি গড়ন দেখে সবাই টের পেয়েছিল তখন। ফলে রিয়ালের জার্সিতে তাঁর ফর্ম ফিরে পেতেও সময় লেগেছে অনেক। স্পোর্টস ও ফুট ম্যাগাজিনের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেটা তখন অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন হ্যাজার্ড, ‘আমি যখন ছুটিতে থাকি তখন আমি আসলেই ছুটির মতো ছুটি কাটাই। এই গ্রীষ্মে আমার ৫ কেজি ওজন বেড়েছে। আমি এমনই, খুব দ্রুত ওজন বাড়ে আবার আমি চাইলেই দ্রুত সেটা ঝেড়ে ফেলতে পারি।’
নিজের শারীরিক গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন লিল ও চেলসির হয়ে ফ্রেঞ্চ ও ইংলিশ লিগ জেতা এই উইঙ্গার, ‘১৮ বছর বয়সে যখন আমি লিলে ছিলাম তখনই আমার ওজন ছিল ৭২ বা ৭৩ কেজি। আমি যখন পেশি বাড়ালাম তখনো ওজনও ৭৫-এ উঠেছিল। খুব বাজে অবস্থায় সেটা ৭৭-ও হতো। এ গ্রীষ্মে আমার ওজন ৮০ কেজি হয়েছিল কিন্তু সেটা ১০ দিনেই আমি কমিয়ে এনেছি।’
এখন করোনাভাইরাসের কারণে সব খেলা বন্ধ। খেলোয়াড়েরা নিজেদের বাসায় বসে আছে। বাসাতেই নিজেদের ফিট রাখার কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যতিক্রম নন হ্যাজার্ডও। তবে নিজের এই স্থূলতা কমাতেও বাড়তি খাটতে হচ্ছে হ্যাজার্ডকে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁর।
কী সেই কষ্ট? শোনা যার তাঁর মুখ থেকেই, ‘এই লকডাউনের মধ্যে আমি যখন-তখন রান্নাঘরে গিয়ে যা ইচ্ছা খেতে পারছি না। নিজের লোভ সংবরণ করতে হচ্ছে। আমি অনেক কম খাচ্ছি। বেশি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখছি। ভাঁড়ার ঘরে গিয়ে ইচ্ছেমতো বনরুটি খাওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখছি। কাজটা অনেক কঠিন।’