এভাবেই এরিকসেনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করেছিলেন তাঁর সতীর্থরা
এভাবেই এরিকসেনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করেছিলেন তাঁর সতীর্থরা

এরিকসেনের জীবন বাঁচানোর পুরস্কার দেবে উয়েফা

দৃশ্যটা হয়তো কোনো দিনই কেউ ভুলতে পারবে না। গত জুনে ইউরোয় ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচ। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান ডেনিশ প্লেমেকার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ফুটবল দুনিয়ার জন্য সেই মুহূর্ত ছিল অভাবনীয় উৎকণ্ঠার। ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমোন কায়ের এবং অন্যরা তৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়ে এরিকসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিলে কী হতো কে জানে!

মাঠের বাইরে থেকে চিকিৎসাদল দ্রুত গিয়ে এরিকসেনকে সিপিআর (বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা) দেয়। এই তৎপর চিকিৎসাসেবার কারণে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান এরিকসেন। ডেনিশ তারকার প্রাণ বাঁচাতে সেদিন যাঁরা খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা। কাল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, মাঠে এরিকসেনের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁদের উয়েফা প্রেসিডেন্টস পুরস্কার দেওয়া হবে।

মাঠে পড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে এরিকসেন।

মাঠ থেকে সেদিন এরিকসেনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেদিন মাঠে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু না পেলে এরিকসেন প্রাণ হারাতে পারতেন। আর তাই ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক, ফিজিওর পাশাপাশি অধিনায়ক সিমোন কায়েরকেও পুরস্কৃত করবে উয়েফা। কায়ের সেদিন মাঠে এরিকসেনকে সিপিআর দেওয়া নিশ্চিত করেছিলেন। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বছর প্রেসিডেন্টস পুরস্কার ফুটবল ছাপিয়ে গেছে। জীবন কত মূল্যবান, তা বুঝিয়ে দিয়েছে।’

এ দৃশ্য সহজে ভোলার নয়

এরিকসেনের বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে। আর কখনো ফুটবল খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ইতালিতে বুকে পেসমেকার নিয়ে খেলার নিয়ম নেই। এ কারণে ইন্টার মিলানের হয়ে আর মাঠে নামতে হয়তো দেখা যাবে না ২৯ বছর বয়সী এ ফুটবলারকে। চিকিৎসাদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এরিকসেন বলেছেন, ‘আমার জীবন বাঁচিয়ে তোমরা দারুণ এক কাজ করেছ। সেদিন এবং তার পরে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় আমার বন্ধু ও অধিনায়ক সিমোন কায়ের এবং সতীর্থদেরও ধন্যবাদ জানাই।’