৩৭ ম্যাচ শেষে মাত্র ৫৮ পয়েন্ট জোটাতে পেরেছেন রোনালদোরা
৩৭ ম্যাচ শেষে মাত্র ৫৮ পয়েন্ট জোটাতে পেরেছেন রোনালদোরা

এমন বাজে মৌসুম আগে আসেনি রোনালদোদের

মৌসুমের শুরুতে কত আশা ছিল, ছিল কত স্বপ্ন!

ঘরের ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ঘরে ফিরে এসেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আনা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানকে। বিশ্বের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল উইঙ্গার জেডন সানচোর সঙ্গে ব্রুনো ফার্নান্দেজ, পল পগবার মতো খেলোয়াড় আছেন—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণই ছিল। এক রোনালদো ছাড়া বাকি সবার বাজে ফর্মের কারণে সে আশা উড়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি।

এক মৌসুমে এত বেশি লিগ গোল হজমের রেকর্ড আর নেই ইউনাইটেডের

আশা উবে যেতে যেতে এখন এমন অবস্থা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে পয়েন্টের হিসাবে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মৌসুম কাটাচ্ছে রেড ডেভিলরা। ৩৭ ম্যাচ শেষে মাত্র ৫৮ পয়েন্ট জোটাতে পেরেছেন রোনালদোরা।

লিগে বাকি আর এক ম্যাচ। ওই এক ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট দাঁড়াবে ৬১-তে। এর আগে কোনো লিগ মৌসুমে এত কম পয়েন্ট পায়নি ইউনাইটেড। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমে (২০১৩-১৪) ৬৪ পয়েন্ট পেয়েছিল ইউনাইটেড। এত দিন পয়েন্টের হিসাবে সেটাই সবচেয়ে বাজে মৌসুম ছিল ইউনাইটেডের। গত রাতে ব্রাইটনের কাছে ৪-০ গোলে হারে নিশ্চিত হয়েছে, এবার ৬৪ পয়েন্টও জুটবে না কপালে!

রালফ রাংনিক সরাসরি ক্ষমাই চেয়ে বসলেন

শুধু তাই নয়, রাফায়েল ভারানের মতো ডিফেন্ডার এসে ক্লাব অধিনায়ক ও বিশ্বের সবচেয়ে দামী ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধার পরও এবার লিগে এখন পর্যন্ত ৫৬ গোল হজম করেছে দলটি। এক মৌসুমে এত বেশি লিগ গোল হজমের রেকর্ড আর নেই ইউনাইটেডের।

ব্রাইটনের বিপক্ষে গত রাতের বড় পরাজয়ে নিশ্চিত হয়েছে, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর এই নিয়ে ১২ ম্যাচে চার বা তার চেয়েও বেশি গোল খেয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি। ফার্গুসন থাকার সময় চার বা তার চেয়ে বেশি গোল খেতে ইউনাইটেডকে খেলতে হয়েছিল ৮১০ লিগ ম্যাচ!

ব্রুনো ফার্নান্দেজ সমর্থকদের অসন্তুষ্টিতে কোনো দোষ খুঁজে পাননি

দলের খেলোয়াড়দের এমন পারফরম্যান্স আর কত সহ্য করা যায়? ইউনাইটেডের সমর্থকেরাও সহ্য করতে পারছেন না। পারছেন না দেখেই নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্লোগানের মাধ্যমে। চার গোল খাওয়ার পর ইউনাইটেডের দর্শকেরা জোরে জোরে বলছিলেন, ‘এই জার্সি পরার যোগ্য নও তোমরা!’

ম্যাচ শেষে দলের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ সমর্থকদের ওই আবেগে কোনো দোষ খুঁজে পাননি, ‘আমরা আজ যা খেলেছি, আসলেই আমরা এই জার্সি পরার যোগ্য নই। আমি সমর্থকদের এই বিরক্তি বুঝতে পারি।’

দলের কোচ রালফ রাংনিক তো সরাসরি ক্ষমাই চেয়ে বসলেন, ‘খুবই জঘন্য পারফরম্যান্স ছিল আমাদের। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা মোটেই ভালো খেলিনি। এই বাজে পারফরম্যান্স আর ফলাফলের জন্য আমরা শুধু ক্ষমাই চাইতে পারি। ব্রাইটনের বিপক্ষে খেলা দেখার জন্য যাঁরা এত দূর এসেছেন, আমরা তাঁদের মন ভরানো খেলা উপহার দিতে পারিনি। শেষ ২০ মিনিটে যখন তিনজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলছিলাম, তখনই একটু ম্যাচের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।’