আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেননি। স্পেনের ক্লাবটি ছেড়ে দেওয়ার পর মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে যাওয়া লুইস সুয়ারেজ নতুন ক্লাব খুঁজছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) থেকে নাকি বেশ কয়েকটি দল সুয়ারেজকে পেতে তাঁর সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করেছে। বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকারকে এর মধ্যে প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
দলবদলের বাজারে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন, সুয়ারেজের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসের কোনো দল। সেখান থেকে একাধিক প্রস্তাব পেলেও নিজের পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
সুয়ারেজ এমন একটি দলে নাম লেখাতে চান, ২০২২ বিশ্বকাপে উরুগুয়ের হয়ে খেলার জন্য যারা তাঁকে সর্বোচ্চ সুযোগ–সুবিধা দেবে। রেডিও স্পোর্ত ৮৯০–কে তিনি নিজের সম্ভাব্য দলবদল নিয়ে বলেছেন, ‘জানুয়ারিতে কিছু সম্ভাবনা আছে। আমি সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখব।’
যুক্তরাষ্ট্রকে ঠিকানা বানানোর সম্ভাবনা নিয়ে সুয়ারেজের কথা এ রকম, ‘এমএলএসের বাজার খুব জটিল। কিছু ক্লাব দলে নিতে চায়, কিন্তু তাদের কোনো জায়গা নেই। তাই এটা হলে জানুয়ারিতে হতে পারে। কিছু ক্লাব আবার এখনই দলে টানতে চায়, কিন্তু আমাকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে যে তারা প্লে–অফে যেতে পারবে কি না।’
এখনো কাউকে কথা না দিলেও কোনো ক্লাবকেই ফিরিয়েও দেননি সুয়ারেজ। সব বিকল্পই খোলা রাখতে চান বার্সেলোনা ও লিভারপুলের সাবেক স্ট্রাইকার, ‘আমি কারও জন্যই দরজা বন্ধ করে দিইনি। সবার প্রস্তাবের কথাই শুনছি। কিন্তু এমএলএসের যেসব দল প্লে–অফে যেতে পারবে না, তাদের মৌসুম অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে। এটা আমার জন্য ভালো হবে না। কারণ, বিশ্বকাপের এক মাস আগে আমাকে খেলা থামিয়ে দিতে হবে।’
ফুটবল বিশ্বে একটা গুঞ্জন খুব শোনা যাচ্ছে—ডেভিড বেকহামের দল ইন্টার মায়ামিতে যেতে পারেন সুয়ারেজ। কিন্তু আয়াক্সের সাবেক স্ট্রাইকার এ নিয়ে বলেছেন, ‘ইন্টার মায়ামি নিয়ে যা বলা হয়েছে, সেটা সত্যি নয়। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই লেখা বা বলা হয়। কিন্তু সেগুলো যে ঠিক নয়, তা আমরা সব সময়ই বলার সুযোগ পাই না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এমনকি সংবাদমাধ্যমেও গুঞ্জন শোনা গেছে—লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ ঠিকানা বেকহামের ইন্টার মায়ামি। সেখানেই একত্র হবেন বার্সেলোনার দুই সাবেক তারকা। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সী সুয়ারেজের কথা, ‘পিএসজিতে লিওর ভবিষ্যৎ আছে। আমি জানি না, সে কোথায় গিয়ে অবসর নিতে চায়। আমারও খেলা নিয়ে প্রকল্প আছে এবং সবকিছু নিয়ে আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।’