>নতুন মৌসুমে কোনো দলই নেয়নি স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলিকে। তিনি ছাড়া স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরী ও ডিফেন্ডার মোহাম্মাদ লিংকনও এবার ক্লাব ছাড়া।
কয়েক বছর আগেও জাতীয় দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে বিবেচিত হতো জাহিদ হাসান এমিলির নাম। ঘরোয়া ফুটবল ও জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর কার্যকারিতা তাঁকে এনে দিয়েছিল দেশসেরা স্ট্রাইকারের খেতাব। যেকোনো দলবদলেই তাঁর চাহিদা থাকত তুঙ্গে। কিন্তু সেই এমিলি এবার দলবদলে কোনো দলই পাননি।
কেবল এমিলিই নন, এবারের দলবদলে কোনো ক্লাবই আগ্রহ দেখায়নি জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার মিঠুন চৌধুরী ও মোহাম্মদ লিংকনের প্রতিও। এমিলি, মিঠুন, লিংকন—এই তিন ফুটবলারই গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলেছিলেন।
প্রথম তিনটি পেশাদার লিগে দারুণ ছন্দে ছিলেন এমিলি। করেছিলেন যথাক্রমে ১২,১৩ ও ১৯ গোল। দু-তিনটি হ্যাটট্রিক, ম্যাচে ৪ গোল। এর পরের চার লিগে দুই অঙ্কেও পৌঁছায়নি তাঁর গোল—৬,৫, ৭,৯। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পর্বে অনিয়মিত থাকলেও দ্বিতীয় পর্বে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সাত ম্যাচে একাদশে খেলেছেন। সব মিলিয়ে ২১টি ম্যাচে ছিলেন মাঠে। কিন্তু নামের পাশে গোল মাত্র একটি। আগের মৌসুমেও মোহামেডানের জার্সিতে লিগে করেছিলেন মাত্র এক গোল। এর আগের মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে তাঁর রেকর্ড আরও ভয়াবহ। একটি গোলও করতে পারেননি। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মরচে ধরেছে এমিলির পায়ে। গত বছর তো তাঁর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে সিন্ডিকেট গড়ার গুরুতর অভিযোগই করেছিলেন মোহামেডানের কোচ আলী আসগর নাসির।
তবুও হয়তো এবার মোহামেডানেই দেখা যেত এমিলিকে। কিন্তু ক্যাসিনো-কাণ্ডের জেরে ক্লাবের নেতৃত্বে বদল আসায় বিপদে পড়েছেন তিনি। নতুন কর্তারা ‘বয়স্ক’ হটিয়ে টেনেছেন তরুণদের। এ ব্যাপারে অবশ্য এমিলির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি। তবে দল না পাওয়ার পেছনে মোহামেডান ক্লাবের নেতৃত্ব বদলকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন মিঠুন চৌধুরী, ‘আমার আর এমিলির মোহামেডানেই থাকার কথা ছিল। এ জন্য আমরা অন্য কোনো ক্লাবের সঙ্গেও আলাপ করিনি।
কিন্তু ক্লাবের নেতৃত্বে রদবদল হওয়ায় মোহামেডান আমাদের ডাকেনি। শেষ দিকে আরামবাগে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু পারিশ্রমিক ভালো না পাওয়ায় যোগ দেওয়া হয়নি।’
আপাতত মধ্যবর্তী দলবদলের দিকেই চোখ তাদের—যদি একটা দল পাওয়া যায়।