>বিশ্বকাপ–জ্বরে কাঁপছে সবাই। বিশ্বসেরা কোচরাই বা বাদ যাবেন কেন? বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকবে কোন চারটি দল, দ্বিতীয় রাউন্ডেই বা যাবে কারা? সে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মরিনহো। দেখা যাক জ্যোতিষী হিসেবে কেমন করেন মরিনহো
বিশ্বকাপ মানেই অনিশ্চয়তা। কখনো বড় দলগুলো গ্রুপ পর্ব থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে। আবার চমক হয়ে ওঠে ছোট দলগুলোর নাম। এটাই তো বিশ্বকাপের মজা। তাই বিশ্বকাপের দামামা বেজে উঠলেই বাড়তে থাকে জ্যোতিষীর সংখ্যা, শুরু হয় ভবিষ্যদ্বাণী। সেই তালিকা থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ হোসে মরিনহোই বা বাদ যাবেন কেন! বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে কোন চারটি দল, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ কোচ।
আগেই বলে রাখা ভালো, মরিনহোর তালিকায় নেই তারকাসমৃদ্ধ স্পেনের নাম। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামকে সবাই এবার গোনার মধ্যে রাখছেন, ইউরোপের এ দুই দেশও নেই ‘স্পেশাল ওয়ানে’র তালিকায়। তবে তিনি ছোট তালিকায় রেখেছেন নিজের দেশ পর্তুগালকে। তাঁর কথা শুনে আশ্বস্ত হতে পারেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও। কারণ, তাঁর চার দলের মধ্যে দুটি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বাকি দেশটি হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। পর্তুগিজ কোচের ভবিষ্যদ্বাণী আছে আরও একটি, ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেবে ইংল্যান্ড।
মরিনহো যেন ধরেই নিয়েছেন শেষ আটে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ব্রাজিল ও ইংল্যান্ড, ‘ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ড অনেক বড় একটি ম্যাচ। বিষয়টি আমার জন্য খারাপ হবে না যে আমার খেলোয়াড়েরা ছুটিতে যেতে পারবে।’ বোঝাই যাচ্ছে কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন করেছেন মরিনহো! আসলে তাঁর ক্লাবের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ইংল্যান্ডের। ফলে আগে ভাগে মার্কাস রাশফোর্ডরা বিদায় নিলে তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে ক্লাব মৌসুম শুরু করতে পারবেন।
স্পেনকে কেন তালিকায় রাখা হয়নি, তা–ও বুঝিয়ে দিয়েছেন মরিনহো। তিনি মনে করেন, মেসির কাছেই হারতে হবে স্পেনকে। আর ইউরো ফাইনালের মতো ফ্রান্সকে হারিয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে পর্তুগাল।
এ ছাড়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারে কোন দলগুলো, তা নিয়েও করেছেন ভবিষ্যদ্বাণী। তাঁর কাছে সার্বিয়ার বিশ্বকাপে ভালো খেলার চেয়ে ইউনাইটেডের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নেমানিয়া মাতিচের বিশ্রাম বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই প্রথম রাউন্ড থেকে সার্বিয়া যেন বাদ পড়ে যায়, সে প্রত্যাশাই করছেন মরিনহো। তাঁর মতে, দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার মতো দলগুলো হলো—
গ্রুপ ‘এ’—উরুগুয়ে, রাশিয়া
গ্রুপ ‘বি’— স্পেন, পর্তুগাল
গ্রুপ ‘সি’—ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া
গ্রুপ ‘ডি’—আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া
গ্রুপ ‘ই’—ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড
গ্রুপ ‘এফ’—জার্মানি, মেক্সিকো
গ্রুপ ‘জি’—ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম
গ্রুপ ‘এইচ’—সেনেগাল, পোল্যান্ড