এ বছরের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার দেওয়া হয়ে গেছে। পরেরটা আগামী বছর সেই সেপ্টেম্বরে হয়তো। সেখানেই দেওয়া হবে মাঝের এই সময়ে সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কার ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ডও। কিন্তু ওই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন অনেক ফুটবলপ্রেমী। তাদের মতে, পুসকাস পুরস্কারটা তো এখনই দিয়ে ফেলা যায়। সেটা কে পাবেন? কেন টটেনহামের দক্ষিণ কোরিয়ান উইঙ্গার সন হিয়ুং-মিন! বার্নলির বিপক্ষে কাল রাতে যে গোলটা করেছেন সন, সেটা আসলেই পুরস্কারের দাবিদার।
ঘরের মাঠে কাল বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচের ৩২ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের একেবারে দাগ ঘেঁষে বল পান সন। দৌড় শুরু করার পরই পেছনে ফেলেন বার্নলির দুই খেলোয়াড়কে। দুপাশ থেকে আরও দুজন এসে ট্যাকল করার চেষ্টা করেন তাঁকে। কিন্তু সন গতিতে পেছনে ফেলেন এ দুজনকেও। বার্নলির ডি বক্সে যখন ঢুকছেন, তখনো দুজন ডিফেন্ডার এসে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য সেই গতির সামনে হার মেনেছেন তাঁরাও। এরপর বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের নিখুঁত শট, যেটি ঠেকাতে পারেননি বার্নলি গোলরক্ষক নিক পোপও। গোল!
এক নজর দেখলে সবার আগে মনে পড়বে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিখ্যাত সেই গোলের কথা। যেকোনো সুন্দর গোলের তুলনা সবার আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ওই গোলের সঙ্গেই হয়।
টটেনহাম কোচ হোসে মরিনহোর অবশ্য সনের গোলটা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ম্যারাডোনার সেই গোল নয়, মনে পড়েছে ব্রাজিলিয়ান রোনালদোর একটা গোলের কথা। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে বার্সেলোনায় থাকার সময় কমপোসতেলার বিপক্ষে এ রকমই একটা গোল করেছিলেন দ্য ফেনোমেনন। সেই সময়ে বার্সেলোনার কোচ ববি রবসনের সঙ্গে দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন মরিনহো।
শুধু মরিনহো নয়, টুইটার ছেয়ে গেছে সনের এই গোলের প্রশংসায়। কেউ বলছেন, এটি মেসির মতো গোল হয়েছে, কেউ বলছেন ম্যারাডোনার মতো। কারও মতে, এটা মেসি-ম্যারাডোনার সমন্বয়ে করা গোলের মতো।
যার গোল নিয়ে এত আলোচনা, সেই সন কী বলছেন? দক্ষিণ কোরিয়ান উইঙ্গার নিজেও বিস্মিত, ‘আমার জীবনের সেরা গোল। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে, আমি ঠিক জানি না। যখন আমি বল পেলাম তখন ডেলে আলীকে পাস দিতে চেষ্টা করেছিলাম এবং তার অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে আমি এগোতে থাকলাম আর এগোতে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত গোলটি করে আমি খুশি।’
এমন গোল করে কেউ খুশি না হয়ে পারেন!
গোলটি দেখে নিন এখানে