২০১২ থেকে ২০১৬-এ সময়ে উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতির ‘ভয়ানক লঙ্ঘন’ করায় ম্যানচেস্টার সিটিকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা। ফেব্রুয়ারিতে এ শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সিটির আপিল করার পর তাদের শাস্তি তুলে নেন ক্রীড়া আদালত (সিএএস)। কমানো হয় জরিমানাও।
ক্রীড়াক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তির এ আদালত এবার কড়া ধমকই দিলেন সিটিকে। উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতি (এফএফপি) তদন্তের শর্তসমূহকে মোটেই তোয়াক্কা করেনি ইংলিশ ক্লাবটি। সিএএসের ভাষায়, ‘ভয়ংকর অবমাননা’ করা হয়েছে।
আদালত মনে করে, প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিকে অন্যায়ভাবে কিংবা অযৌক্তিক কারণে শাস্তি দেয়নি ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে আর্থিক সংগতি নীতির শর্ত লংঘনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সিটির বিপক্ষে, তা প্রমাণ করা যায়নি। ‘মালিকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তহবিল স্পনসরশিপ হিসেবে দেখানোর বিষয়ে সিটির বিরুদ্ধে কোনো অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি’, জানিয়েছেন সিএএস। স্পনসরশিপ রাজস্ব থেকে আয়কৃত আর্থিক হিসেবে গড়মিল পেয়ে সিটিকে নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা। সিএএস এরপর শাস্তি তুলে নিয়ে জরিমানা ৩ কোটি ইউরো থেকে ১ কোটি ইউরোয় নামিয়ে আনে।
কাল এ বিচারপ্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণী দিয়েছেন সিএএস। উয়েফার তদন্তকে সিটি মোটেই পাত্তা দেয়নি। তাদের অসহযোগিতা করে সিটি ‘নিয়ম ভাঙা’র জন্যই এ জরিমানা করা হয়, বিবরণীতে জানিয়েছেন সিএএস। কিন্তু সিটির বিপক্ষে আর্থিক সংগতি নীতি ভাঙার অভিযোগ আরও গুরুতর। এ নিয়ে অকাট্য কোনো প্রমাণ মেলেনি।
আবুধাবি রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর ২০০৮ সালে সিটি কিনে নেওয়ার পর থেকে ক্লাবটি পাল্টে গেছে। স্পনসর থেকে আয়ের অঙ্ক স্ফীত করে দেখানোর অভিযোগ সিটির জন্য পুরোনো বিষয়। এতে খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক কমানো যায়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘ডার স্পিগেল’ ২০১৮ সালে সিটির কিছু মেইল ফাঁস করার পর ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে তদন্ত শুরু করে উয়েফা।