‘দুঃখিত, এই পেজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
মাউরো ইকার্দির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর অ্যাকাউন্টে ‘ক্লিক’ করলে হতাশ হতে হচ্ছে সবাইকে। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডি সম্ভবত আপাতত নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন। কেন?
সংবাদমাধ্যমের ধারণা, স্ত্রী ওয়ান্দা নারার সঙ্গে আবার নতুন কোনো ঝামেলা হয়েছে!
এমনিতে ইকার্দি–নারার দাম্পত্য জীবন বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই ঝঞ্ঝাপূর্ণ। বিতর্ক, বিশ্বাসঘাতকতা—কী নেই!
ইকার্দি সাম্পদোরিয়ায় খেলার সময় স্বদেশি বন্ধু ও সতীর্থ ম্যাক্সি লোপেজের স্ত্রী ওয়ান্দা নারার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে তাঁকে বিয়েও করেন। তুমুল বিতর্ক হয়েছিল তা নিয়ে। গত বছর অক্টোবরে খবর বেরোয়, ইকার্দি আবারও পরকীয়ায় আসক্ত। ইনস্টাগ্রামে তা নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে ইকার্দিকে ‘আনফলো’ও করেন নারা। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা নারা তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারেন বলেও খবর বেরোয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কিন্তু নতুন বিতর্ক উঠেছে এই জুটিকে ঘিরে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ইকার্দির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুললেও নিজেদের মধ্যে বিরোধ ঠিক করে নেওয়ার পথেই ছিলেন মিডিয়া তারকা নারা। কিন্তু সাম্প্রতিক খবর হলো ইনস্টাগ্রামে নারাকে ‘আনফলো’ করেছেন পিএসজি স্ট্রাইকার ইকার্দি। পাল্টেছেন নিজের প্রোফাইল ছবিও—নিজের দুই কন্যার মধ্যে একজনের সঙ্গে আইফেল টাওয়ারের সামনে তোলা ছবি তিনি প্রোফাইলে রেখেছেন।
এদিকে নারাও চুপ থাকেননি।
ইকার্দির এই কাজের প্রতিক্রিয়ায় ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন নারা—তাঁদের দুই কন্যার মধ্যে এক কন্যা হাত দিয়ে নারার মুখ এমনভাবে ঢেকে আছে যেন তিনি কাঁদছেন। নারাকে ‘আনফলো’ করার পর থেকেই ইনস্টাগ্রামে পাওয়া যাচ্ছে না ইকার্দিকে।
আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী ইউজেনিয়া ‘চায়না’ সুয়ারেজের সঙ্গে ইকার্দির পরকীয়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছিল গত অক্টোবরে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরুর পর পিএসজি ছুটি দিয়েছিল ইকার্দিকে যেন নিজের বিয়েটা বাঁচাতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে দুজনের মান–অভিমান কত দূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তবে কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনার টিভি ব্যক্তিত্ব সুজানা হিমিনেজের একটি অনুষ্ঠানে ইকার্দি বলেছেন, ‘নিজ জীবনের মতোই মূল্যবান ভেবে বিয়েটা করেছিলাম। কিন্তু আমি ভুল করেছিলাম।’ ইকার্দির এই মন্তব্যের পর গৃহদাহ শুরু হয়েছে বলে ধারণা সংবাদমাধ্যমের।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারের কম ক্ষতি করেননি ইকার্দি। ওয়ান্দার সঙ্গে বিতর্কিত সম্পর্কের জন্য আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য বলতে গেলে একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা তো সরাসরিই বলেছিলেন, যিনি বন্ধুর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেন, তাঁকে কখনো জাতীয় দলে ডাকা ঠিক নয়।