ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এই সপ্তাহে ম্যাচ ছিল লিভারপুলের। লিভারপুল জিততে পারলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে যেত, ইউনাইটেড জিতলে ছয় পয়েন্টের ব্যবধান সৃষ্টি করে ইউনাইটেডই থাকত সবার ওপরে। কোনোটাই হয়নি। ড্র হওয়া ম্যাচটা নিশ্চিত করেছে পয়েন্ট ব্যবধান ছয় না হলেও ওপরে ইউনাইটেডই থাকবে। কিন্তু সে আনন্দটাও দুদিনের বেশি টিকল না। ইউনাইটেডকে টেবিলের ওপর থেকে সরানোর কাজটা লিভারপুলের বর্তমান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ না করতে পারলেও সাবেক কোচ ব্রেন্ডান রজার্স ঠিকই করে দেখালেন! তা–ও আবার লিভারপুলের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসিকে হারিয়ে।
গত রাতে চেলসিকে লিগ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছে রজার্সের লেস্টার সিটি। গোল করেছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার উইলফ্রেড এনদিদি ও ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস ম্যাডিসন। এই হারে চেলসির অবস্থা আরেকটু টালমাটাল হলো। লিগ টেবিলের আট নম্বরে ধুঁকছে তারা। ফলে কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চাকরি নিয়ে টানাটানির মাত্রাটা আরেকটু বেড়েছে। ব্রিটিশ মিডিয়ার খবর, যেকোনো সময়ে চাকরি হারাতে পারেন সাবেক এই কিংবদন্তি ইংলিশ মিডফিল্ডার।
লিভারপুল থেকে চাকরি খুইয়ে স্কটিশ ক্লাব সেল্টিক হয়ে এখন লেস্টারে ফিরেছেন নর্দার্ন আইরিশ ম্যানেজার ব্রেন্ডান রজার্স। ওদিকে রজার্সের জায়গায় লিভারপুল নিয়ে এসেছিল ক্লপকে। রজার্স লেস্টারে ফিরিয়েই সময়-সময় জানিয়ে দেন, কোচ হিসেবে এখনো তাঁর ঘটে অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। গত মৌসুমের একপর্যায়ে লিভারপুলের লিগ শিরোপা জেতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই লেস্টারই। শেষমেশ লিভারপুলের ফর্মের সঙ্গে পেরে না উঠলেও শীর্ষ চারে থাকার জন্য নিজের যোগ্যতার বেশ ভালোই প্রমাণ দিয়েছেন এই ম্যানেজার।
ওদিকে চেলসির কোচ ল্যাম্পার্ডও বুঝেছেন, সময় ঘনিয়ে আসছে, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে এই ক্লাবের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এটা সব সময়ই এই ক্লাবে থাকবে। আমি থাকি কি না থাকি, এটা আমার হাতে নেই। কিছু জিনিস আপনি কখনোই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এটা আমি জবাব দিতে পারব না (চেলসিতে থাকবেন কি না)।’