দলের মহাবিপর্যয়ে স্তব্ধ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। টটেনহামের কাছে ৬-১ গোলে হারার পর হতাশায় কাল রাতে হয়তো ঘুমাতেই পারেননি তাঁরা। এই দুঃখ থেকে তাঁদের বেরিয়ে আসার টোটকা দিয়েছেন ইউনাইটেডের সাবেক উইং-ব্যাক প্যাট্রিস এভরা। সেই টোটকা দিতে গিয়ে সাবেক ক্লাবের কোচ আর পরিচালনা-পর্ষদের প্রতিও হয়তো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেটা দলবদলে চাহিদা মতো খেলোয়াড় কিনতে না পারার কারণে।
সব মিলিয়ে ইউনাইটেডের সমর্থকদের প্লে স্টেশন কিনতে বলেছিলেন। সেখানে পছন্দের সব খেলোয়াড় কিনে অন্য দলের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আনন্দ পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার। এতে যদি কিছুটা হলেও ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বাজে লিগ-হারের দুঃখ ভুলতে পারেন সমর্থকেরা!
টটেনহামের বিপক্ষে নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাল অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেডই। ম্যাচের ২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে পাওয়া ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। কালকের ম্যাচে ইউনাইটেডের আনন্দের মুহূর্ত ওইটুকুই। ইউনাইটেডের জালে টটেনহামের গোলবন্যার শুরু ৪ মিনিটে। যা শেষ হয়েছে ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেনের গোলে। এর মধ্যে আবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে।
ম্যাচটি দেখে এভরার মনে হয়েছে ইউনাইটেডে এখন যোগ্য খেলোয়াড়ের বড় অভাব, ‘ভাগ্য ভালো যে টটেনহাম আমাদের একটি পেনাল্টি দিয়েছে। এমন হারের পর আমি সমর্থকদের বলব প্লে স্টেশন কিনে সেখানে সানচো, এমনকি মেসির মতো খেলোয়াড় কিনতে। এরপর খেলা শুরু করুন।’ প্লে স্টেশনে জাডন সানচোকে কেনার পরামর্শ এভরা হয়তো এ কারণেই দিয়েছেন যে এবারের দলবদলের বাজারে তাঁকে কিনতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে ইউনাইটেড!
ইউনাইটেডের এই দলটির খেলোয়াড়দের কী হওয়া উচিত তা বলতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার থেকে একটি উদাহরণ দিয়েছেন এভরা, ‘ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৬-১ গোলে হারার পর আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। ওই ম্যাচ শেষে (স্যার অ্যালেক্স) ফার্গুসন আমার ওপর ভয়ংকর রেগে গিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “প্যাট্রিস তুমি এত আক্রমণে কেন গিয়েছিলে?” উত্তরে আমি বলেছি, “কারণ, এটা আমাদের ক্লাবের খেলার দর্শন।”
এখন ক্লাবে কোনো খেলোয়াড়ের জবাবদিহি নেই বলেই মনে করেন এভরা, ‘এগুলো (জবাবদিহির ব্যাপারটি) আপনি এখন দেখতে পান ক্লাবে? এ কারণেই আমি এখন আর কিছুই বলতে চাই না। কারণ এখন যা হচ্ছে সেটি বিপর্যয়। আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে আরেকজন খেলোয়াড়কে কেন পছন্দ করব না? কিন্তু আমাদের গোটা রক্ষণভাগই এখন বাজে!’