রাশিয়া বিশ্বকাপে তারকাসমৃদ্ধ দলগুলোর পতনের ফাঁকে ইংল্যান্ড চলে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। শেষ ষোলোতে ওঠার পরই ইংলিশ গণমাধ্যম সয়লাব হয়ে যায় ‘ইটস কামিং হোম’ কোরাসে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জেতেনি কিন্তু ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের পর ইংলিশ গণমাধ্যমে একটা বড় খোঁচাই দিলেন পল পগবা
তিনি নিজে খেলেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ও পল পগবা। সেই পগবাই কিনা রসিকতার ছলে ইংলিশ গণমাধ্যমকে এক বড় খোঁচাই দিলেন।
জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেন, ব্রাজিল, পর্তুগালের মতো দলগুলো শেষ চারের আগেই বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। আর উল্টো দিকে তরতর করে শেষ চারে উঠে গেছে ইংল্যান্ড। ব্যস, দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে ইংলিশ গণমাধ্যমে জোয়ার বইল এবার তবে বিশ্বকাপটা ঘরেই (পড়ুন ইংল্যান্ডে) ফিরছে। সেই জোয়ারে ভেসে ইংলিশ গণমাধ্যম ১৯৯৬ ইউরোর সময় ইংল্যান্ড সমর্থকদের বানানো গানের একটি লাইন ‘ইটস কামিং হোম’ নিয়ে কোরাসও তুলেছিল জোরেশোরে। সেটিই যে উল্টো বিদ্রূপের কারণ হবে, সেটি কি আর তারা জানত!
সেই বিদ্রূপটাও কিনা এসেছে ইংল্যান্ডেরই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা একজনের কাছ থেকে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারানোর ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন পল পগবা। ম্যাচজুড়েই ভালো খেলেছেন। সেই আনন্দেই কিনা বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে উদ্যাপনের একপর্যায়ে ইংল্যান্ডকে খোঁচা মেরে বসেন পগবা।
পগবার নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম লাইভে দেখা যায়, ড্রেসিংরুমে বিশ্বকাপ ট্রফি কোলে নিয়ে পগবা হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় গাইছেন, ‘ইটস কামিং হোম, ইটস কামিং হোম।’ তাঁর এই কাণ্ড দেখে ফ্রান্স সতীর্থদের কয়েকজন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন। যদিও ভিডিওর শেষাংশে পগবা ক্ষমা চেয়ে বলেন, এর পুরোটাই নিছক মজার ছলে ছিল। তবে ইংলিশ গণমাধ্যম ব্যাপারটিকে এত সহজভাবে নেবে কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।
শুরু হতে যাওয়া মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পগবা—তার ওপর আবার এই কাণ্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে নামলে যে দর্শকেরা তাঁকে সাদরে বরণ করে নেবেন না, সেটি পগবাও জানেন। তবুও ইংল্যান্ডকে খোঁচা দিয়েই ছেড়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডে কি পগবার দিন ফুরোল?