ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে ক্রোয়াট একাদশের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ইভান পেরিসিচ। ইন্টার মিলান সতীর্থের সেই ছবিতে ‘লাইক’ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি। এতেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়
একটা সাধারণ সর্বসম্মত ধারণা হলো, দেশের জন্য সব ফুটবলারই নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু কখনো কখনো এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, যখন দেশের হারে কেউ কেউ পুলকিত হতে বাধ্য হন! মাউরো ইকার্দির কথাই ধরুন, তাঁকে ঘিরে এখন এই বিতর্কই চলছে।
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের আগে ক্রোয়েশিয়া একাদশের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ইভান পেরিসিচ। ইকার্দি সেই ছবিতে ‘লাইক’ দিয়েছেন। সাদা চোখে এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। কারণ, ক্রোয়াট উইঙ্গার ও আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার—দুজনেই ইন্টার মিলান সতীর্থ। তাই ক্লাব সতীর্থের পোস্ট করা ছবিতে ইকার্দি ‘লাইক’ দিতেই পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে ইকার্দির সম্পর্কই সবাইকে বাধ্য করছে অন্যভাবে ভাবতে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ইকার্দির। এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হচ্ছে। বেশির ভাগই ইকার্দির পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর ক্লাব সতীর্থের দেশের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে আর্জেন্টিনা। আর দশজন দেশপ্রেমিক ফুটবলারের মতো ইকার্দি কোথায় তাঁর সতীর্থদের প্রেরণা জোগাবেন, সহমর্মিতা দেখাবেন—তা না, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের ছবিতে তিনি ‘লাইক’ দিয়েছেন! সে যতই ক্লাব সতীর্থ হোক, প্রশ্ন তো উঠবেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই এ প্রশ্নের অবতারণা করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা—তাঁকে দলের বাইরে রেখে আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়াতেই কি ‘লাইক’ দিয়েছেন ইকার্দি? অনেকে অবশ্য হেঁটেছেন সোজা পথে। দুজন ক্লাব সতীর্থ, সামান্য এক ‘লাইক’ নিয়ে এত কথা অনর্থক।
কিন্তু ২০১৩ সালে আর্জেন্টিনা দলে অভিষিক্ত কোনো খেলোয়াড় এই পাঁচ বছরে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছেন, এই পরিসংখ্যান দেখলে জাতীয় দলের প্রতি ইকার্দির ক্ষোভ আর অভিমানই সবার আগে মাথায় আসে। আর গত মৌসুমে সিরি ‘আ’-যে সর্বোচ্চ গোল করেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া বিবেচনা করলে তো মনে হবে এটাই সঠিক জবাব—আর্জেন্টিনার হারের জন্যই ইকার্দির ‘লাইক’!