ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা? এমন প্রশ্ন শুধু বিশ্বকাপ নয়, সব সময়ই চলে। বিশ্বকাপের সময়টায় এ তর্কে রং লাগে, উত্তাপটা বাড়ে। সেই উত্তেজনা মুখের তর্কে আটকে রাখাই ভালো, না হলে নানা বিপত্তি। অবশ্য আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সবাই পারেন না। এই তো গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল-সমর্থককে পেটালেন আর্জেন্টিনার এক সমর্থক!
ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। যোগ করা সময়ের খেলা চলছে তখন। এর আগেই ২ গোল হজম করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। মেসিদের বিশ্বকাপ-স্বপ্নই শেষ হতে চলেছে যেন! ৯১ মিনিটে কোভাচিচের পাসে কাবায়েরোকে বোকা বানিয়ে রাকিতিচ ঠান্ডা মাথায় আরও একটি গোল করলেন। আকাশি-সাদা সমর্থকদের বুক বিদ্ধ হলো আরেকবার।
দলের এমন অবস্থায় মেসি নিশ্চুপভাবে দাঁড়িয়ে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে আর্জেন্টিনার এমন দুর্দশা মেনে নেওয়া কঠিনই সমর্থকদের জন্য। আবার উল্টো চিত্রও আছে। আর্জেন্টিনার হারে অনেকেরই আনন্দ উদ্যাপনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মেসিদের চোখে পানি অনেক প্রতিপক্ষ ভক্তের আনন্দের খোরাক।
ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে মেসিরা যখন তিন নম্বর গোলটা খেলেন, নিজের লোভ সংবরণ করতে পারেননি এক ব্রাজিল-ভক্ত। স্টেডিয়ামের বাইরে ‘ফ্যান জোনে’ আর্জেন্টিনা-ভক্তরা তখন হতভম্ব হয়ে দেখছেন দলের দুর্দশা। আর রাকিতিচের গোলের পর উল্লাসে মেতে ওঠেন ব্রাজিলের ফুটবল-সমর্থকেরা। কিন্তু উল্লাস প্রকাশেরও তো সময় আছে! ব্রাজিলের সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখে খেপে যান আর্জেন্টিনার এক সমর্থক। এক ব্রাজিল-সমর্থকের ওপর হামলে পড়েন, পিটিয়েছেনও ইচ্ছেমতো! পরে সেই আর্জেন্টাইন নারী সমর্থকের হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন অন্য ব্রাজিল-সমর্থকেরা।
এমনিতেই মারদাঙ্গা স্বভাবের জন্য আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের কুখ্যাতি রয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ৩ হাজার আকাশি-সাদা সমর্থককে নিষিদ্ধ করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।