পুরোনো সৈনিকের ওপরই আস্থা রাখলেন হোর্হে সাম্পাওলি। ম্যানুয়েল লানজিনির শূন্যতা পূরণে ডাক পড়ল এনজো পেরেজের। পেরেজ গত বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। যদিও সাম্পাওলির পরিকল্পনায় খুব একটা আস্থার জায়গা করে নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত লানজিনি ছিটকে পড়ায় ৩২ বছর বয়সী রিভার প্লেট মিডফিল্ডারকেই দলে নিলেন সাম্পাওলি।
২৩ জনের স্কোয়াড এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বদলাতে হলো আর্জেন্টিনাকে। এর আগে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোকেও চোটের কারণে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে ভয়ের খবর হয়ে এসেছে এভার বানেগার চোট। যদিও আর্জেন্টিনা দল থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, বানেগা চোট পেলেও এমন নয় বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না।
রোমেরোর মতো পরীক্ষিত না হলেও এবারের বিশ্বকাপে সাম্পাওলির বড় ভরসার নাম ছিলেন লানজিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে তাঁকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলনে ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় লানজিনির রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটেছে। আট থেকে নয় মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি।
গত মাসে আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ২৩ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেন ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। হাইতির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলেছিলেন লানজিনি। মেসির সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ চোখে পড়েছিল। একটু সময় নিয়েই তাঁর বিকল্প বেছে নিল আর্জেন্টিনা। ভরসা রাখল পেরেজের ওপর।
আজই স্পেন থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ১৬ জুন আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে শিরোপা অভিযান শুরু করবে তারা। এই গ্রুপে বাকি দুই প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। ২১ জুন ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার পর ২৬ জুন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে লড়বে সাম্পাওলির দল।