>এই প্রজন্মের কাছে হয়তো অজানা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছিল বাংলাদেশ। ১৯৮৩ সালের মারদেকা টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার সেই দলটির সঙ্গে লড়াইটাও মন্দ করেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল
লিওনেল মেসি বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১১ সালে। অনেকেই বলেন সেবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বাংলাদেশকে নামিয়ে দিয়ে দেখা যেতে পারত। বড় ব্যবধানে হারলেও সে ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের খুব স্মরণীয় ব্যাপার হয়ে থাকত। মেসি-আগুয়েরো-ডি মারিয়া-হিগুয়েইনদের বিপক্ষে খেললে বাংলাদেশের ফুটবলাররাও নিজেদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারতেন। কিন্তু বাফুফে সে লাইনে ভাবেনি। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার বদলে তারা হেঁটেছিলেন ব্যবসার রাস্তায়।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে! এই প্রজন্ম অবাক হতে পারে। কিন্তু এটা সত্য। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের বিপক্ষে না হলেও ১৯৮৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে আর্জেন্টিনার একটি দলের বিপক্ষে জাতীয় দল খেলেছিল। ৫-২ গোলে হারা সেই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে দুটি গোল করেছিলেন আশরাফউদ্দিন চুন্নু ও শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
মারদেকা কাপ সে সময় এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের তখন নিয়মিতই আমন্ত্রণ আসত সে টুর্নামেন্টে খেলার। তিরাশি সালে আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ( ঢাকা মোহামেডানের সাবেক রাইট ব্যাক) মারদেকা কাপে খেলতে গিয়েছিল জাতীয় দল। বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী ছিল দক্ষিণ কোরিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা যুবদল, মালয়েশিয়া ও নেপাল। নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আলজেরিয়ার কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে। মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হারের ব্যবধান ছিল যথাক্রমে ১-০ ও ৩-১।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে শেষ মোহাম্মদ আসলামের স্মৃতিতে, ‘দলটা যুবদলই ছিল, এটা মনে আছে। আর্জেন্টিনার সেই চিরাচরিত আকাশি-সাদা জার্সিতে মাঠে নেমেছিল তারা। আমাদের মাথায় ছিল এই আর্জেন্টিনাই ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা ভালো খেলেছিলাম। কিন্তু দলটা ছিল দুর্দান্ত।
আর্জেন্টিনার সেই দলের কেউ জাতীয় দলে খেলেছেন কিনা, মনে করতে পারলেন না আসলাম, ‘৩৫ বছর আগের কথা। ওদের কোনো জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিল কিনা মনে নেই। এটা মনে আছে আর্জেন্টিনা নামে আসা সেই দলটি খুবই শক্তিশালী ছিল। খেলোয়াড়েরা ছিল প্রায় বিশ্বমানেরই।’
সে ম্যাচে আসলামের স্মরণীয় স্মৃতি নিজের গোলই, ‘মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে গিয়ে গোল করেছিলাম। এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর আমার গোলেই বাংলাদেশ সমতা আনে। কিন্তু সমতার পর আর্জেন্টাইন দলটি যেন আরও তেড়েফুঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পরে আরও চার গোল খাই। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেছিল চুন্নু। পেনাল্টি থেকে।’