আর্জেন্টিনার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে চিলি।
কনমেবলের সমালোচনা করে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ফলে তিনটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে। পাওলো দিবালার সামনে সুযোগ ছিল মেসির অনুপস্থিতিতে আর্জেন্টিনা দলে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করার। অন্তত প্রথম ম্যাচে সেটা করে দেখাতে পারলেন না জুভেন্টাসের এই তারকা ফরোয়ার্ড। চিলির বিপক্ষে লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে আজ গোলশূন্য ড্র করেছে আর্জেন্টিনা।
তবে গোটা ম্যাচে গোল হয়নি দেখে যে আর্জেন্টিনা খারাপ খেলেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। খেলোয়াড়দের মধ্যে রসায়নটা ভালো থাকলেও দিবালা-মার্টিনেজ-কোরেয়ারা গোলমুখে গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছিলেন। চিলির রক্ষণভাগ ভেদ করে সেভাবে গোলমুখে শট মারতে পারেননি তাঁরা। আর যা কয়েকটা মারতে পেরেছেন, সেখানে চিনের মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন চিলির গোলরক্ষক, সাবেক বার্সা ও বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা ক্লদিও ব্রাভো। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গোলরক্ষকের রিফ্লেক্স-ক্ষমতার চোখে পড়ার মতো উন্নতি ঘটেছে। আর তাতে এই ম্যাচ উপকৃত হয়েছে চিলি। প্রথমার্ধেই যেমন, লওতারো মার্টিনেজের সঙ্গে পাওলো দিবালার করা দৃষ্টিনন্দন এক আক্রমণ চমৎকারভাবে ঠেকিয়ে দেন এই তারকা।
বড় টুর্নামেন্টগুলোতে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম মিডফিল্ড। মিডফিল্ড থেকে বলতে গেলে আক্রমণভাগে বল যায়-ই না, যে কারণে লিওনেল মেসিকে প্রায় মিডফিল্ডে নেমে এসে বল জোগাড় করে আক্রমণ রচনা করতে হয়। আজকে সেই প্রবণতা দেখা যায়নি। লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো চেলসো ও রদ্রিগো দি পল - তিন মিডফিল্ডারের যোগাযোগটা বেশ ভালো ছিল। গোলমুখে গিয়েই গড়বড় করেছে আর্জেন্টাইনরা। পাওলো দিবালা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন। উল্টো প্রথমার্ধে হলুদ কার্ড হজম করেছেন একটা। ম্যাচের একদম শেষ দিকে এসে ডিফেন্ডার লুকাস মার্টিনেজ কুয়ার্তা সহজ একটা সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত আর্জেন্টিনা।
পাঁচ দিন পর মেক্সিকোর বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। দেখা যাক, সে ম্যাচে দিবালা গোলের দেখা পান কি না!