শঙ্কায় ছিল ব্রাজিল। বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত ফুটবলের অলিম্পিকের সোনা ২০১৬ সালে এসে পেয়েছে। পরেরবারই কিনা অলিম্পিকের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়তে হবে! কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে বাঁচামরার ম্যাচে প্রতিপক্ষ আবার ফর্মে থাকা আর্জেন্টিনা। জয় না পেলেই বিদায় অলিম্পিকের স্বপ্ন। কিন্তু পরশু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
কনমেবল থেকে আগেই অলিম্পিক নিশ্চিত করে ফেলেছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে ড্র করলেও সূক্ষ্ম একটা সুযোগ ছিল ব্রাজিলের, যদি উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার ম্যাচটি সমতায় শেষ হতো। কিন্তু কলম্বিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় উরুগুয়ে। ফলে জয় ছাড়া আর কোনো গতি ছিল না ব্রাজিলের। জার্মান ক্লাবে খেলা দুই ফরোয়ার্ডের গোল প্রথমার্ধেই ম্যাচটা ব্রাজিলের পক্ষে এনে দিয়েছে।
১৩ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছেন বেয়ার লেভারকুসেনের পওলিনহো। ৩০ মিনিটে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছেন আরবি লাইপজিগের ম্যাথিয়াস কুনহা। ম্যাচ নিয়ে এরপরও ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কোনো শঙ্কা থাকলে সেটা দূর হয়েছে কুনহার দ্বিতীয় গোলে। ৫৫ মিনিটে পওলিনহোর সহায়তায় দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন কুনহা।
হারলেও প্রাক্ বাছাই টুর্নামেন্টের শিরোপা নিয়ে উৎসব কিন্তু ব্রাজিলের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি পাওয়া আর্জেন্টিনাই করেছে।