‘মতিনকে নিজের ইচ্ছের মতো খেলতে দিলেই ও সেরাটা খেলতে পারে।’
এ দাবি বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজনের। অস্কারের অধীনে এক মৌসুমের বেশি সময় ধরে খেলছেন মতিন। তাঁর চেয়ে মতিনকে আর ভালো কেই-বা জানেন! মতিনকে ইচ্ছেমতো খেলার সুযোগ দেওয়াতেই বসুন্ধরার জার্সিতে উজ্জ্বল দেখা যায়। জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছিল না তাঁর দ্যুতি। অবশেষে মতিন দেখালেন তাঁর ঝলক। কাল তাঁর জোড়া গোলেই শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও দেশের জার্সিতে কালই প্রথম গোল পেয়েছেন মতিন। প্রথমবারেই জোড়া গোল। শুধু জোড়া গোল নয়, দুর্দান্ত গতির সঙ্গে দারুণ বলের নিয়ন্ত্রণে প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে বারবার ব্যস্ত রেখেছিলেন মতিন।
আজ মতিনকে তাঁর মতো খেলতে দিয়েছেন জেমি ডে। প্রতি-আক্রমণভিত্তিক ফুটবল থেকে বের হয়ে জেমি ডে কাল আক্রমণাত্মক হয়েছেন। সে কারণেই ৪-১-৪-১ থেকে বের হয়ে মাহবুবুর রহমান ও মতিন মিয়াকে নিয়ে ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজিয়েছিলেন জেমি। মূল স্ট্রাইকার হিসেবে মাহবুব আর মুক্ত বিচরণ করেছেন মতিন। নিজেদের পায়ে বল থাকলে মতিনকে দেখা গিয়েছে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের আশপাশে অবাধ বিচরণ করতে। নতুন এই পজিশনে খেলে মতিনের উচ্ছ্বাস, ‘আমি যে সুযোগ পেয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কাজে লাগানোর জন্য। স্ট্রাইকার হিসেবে নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে চাই। আমার মাঠের বাইরে বসে থাকতে ভালো লাগে না।’
প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে গতিতে পেছনে ফেলা, আড়ালে থেকে গোলমুখে জায়গা করে নেওয়া, প্রয়োজনে ‘১০ নম্বর’ ও উইঙ্গার পজিশনের সঙ্গে জায়গা বদল করা। একই সঙ্গে গোলের ক্ষুধা তো ছিলই। সবকিছু মিলিয়ে মতিন যেন ছিলেন একজন দক্ষ ফরোয়ার্ডের প্যাকেজ। প্রথম গোলে অভিষিক্ত মিডফিল্ডার মানিক হোসেন বক্সে বল ফেলেছিলেন। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের মাঝে দুর্দান্তভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের শটে গোল। দ্বিতীয়টি করেছেন মাঝমাঠ থেকে টেনে নেওয়া বলে গোলরক্ষককে কাটিয়ে।
ম্যাচ শেষে মতিনের প্রশংসায় কোচ বলেছেন, ‘অনেক দিন পর ভালো একটি জয় পেয়েছি আমরা। এর মূল কারিগর মতিন। সে আজ দুর্দান্ত খেলেছে।’