>আগামীকাল বুধবার এএফসি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাবের মুখোমুখি হবে আবাহনী লিমিটেড।
আবাহনী সমর্থকদের কাছে এএফসি টুর্নামেন্ট এক হতাশার নাম। এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ (পাঁচ বার) ও এএফসি কাপ মিলিয়ে সাতটি আসরে একবারও গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি আবাহনী। এবার সেই দুঃখ ঘোচাতে চায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা। প্রথম ম্যাচে নেপালের মাটিতে তাদের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে শুরুটা সুন্দর হয়েছে আবাহনীর। এবার শহিদুল আলম, ওয়ালি ফয়সালদের সামনে ভারতের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাব। গতকাল দুপুরে ঢাকায় পৌঁছেছে তারা।
৩ এপ্রিল নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে কাঠমান্ডুতে ১-০ গোলে হারায় আবাহনী। সেই সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করেই পাঞ্জাবের বিপক্ষে আবাহনী নামবে নিজেদের মাঠে । জয়টাই প্রত্যাশিত। ভারতের দলটি যে খুব শক্তিশালী, এমনটা নয়। আগের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা এবারের মৌসুমে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। এগারো দলের লিগে নবম স্থানে থেকে ধুঁকছে। এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই এফসির সঙ্গে করেছে গোলশূন্য ড্র।
ভারতের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সাম্প্রতিক একটা ‘দ্বন্দ্বে’ও জড়িয়ে পড়েছিল ক্লাবটি। প্রথমবারের মতো আইএফসি কাপে সুযোগ পাওয়া ক্লাবটি নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে খেলতে চেয়েছিল ভুবনেশ্বরে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রথমে রাজি না হওয়ায় ক্লাবই বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ক্লাবের মালিক রঞ্জিত বাজাজ। কাল আবাহনী মাঠে সে প্রসঙ্গ তুলতেই রঞ্জিত হেসে বললেন, ‘অবশেষে হোম ভেন্যু হিসেবে ওডিশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে খেলার অনুমতি পেয়েছি। আপাতত সমস্যা মিটে গেছে।’
গত চার বছরে এই ক্লাবটি আই লিগসহ বয়সভিত্তিক ফুটবলে ছয়টি ট্রফি জিতেছে। সেই দলের এমন করুণ অবস্থা মানতে কষ্ট হয় ফুটবলারদের। লিগে নিজেদের অবস্থান যেমনই হোক, এএফসি কাপে ভালো করতে চায় দলটি। কাল দলের অনুশীলন শেষে আত্মবিশ্বাসীই দেখাল কোচ শচীন বারাদেকে, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা খুব ভালো হয়েছে। আমাদের সব নজর এখন এএফসি কাপে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা ভালো ফুটবল খেলতে প্রস্তুত। আমরা এখানে ৩ পয়েন্ট পেতেই এসেছি।’
মিনার্ভা পাঞ্জাবের মাঝমাঠ যথেষ্ট শক্তিশালী। রক্ষণে সবাই বিদেশি। এর ওপর আইজল এফসি থেকে ধারে নিয়েছে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার করিম ওমোনাজাকে। আছেন কলম্বিয়ান জর্জ রদ্রিগেজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রবার্ট প্রিমাস।
এবারই প্রথম জয় দিয়ে এএফসি কাপ শুরু করতে পেরেছে আবাহনী। আকাশি নীলদের দুই স্ট্রাইকার সানডে সিজোবা ও নাবীব নেওয়াজ জীবন রয়েছেন গোলের মধ্যেই। দুজন মিলে লিগে করেছেন ১৬টি গোল। তাই আত্মবিশ্বাস কোচ মারিও লেমসের কণ্ঠেও, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য নামি। এখানেও সেটাই করতে চাই। যদিও কাজটা মোটেও সহজ হবে না। ওরা খুব ভালো দল। কিন্তু ওদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাটা জানি। আমরা এখানে ৩ পয়েন্ট পেতে সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, আমরাই জিতব।’