ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে এখনো যুদ্ধ চলছেই। গ্লাসগোয় কাল রাতে ইউক্রেন যখন বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্লে–অফ সেমিফাইনাল খেলতে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হলো, তখনো পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইউক্রেনে রাশিয়ার এই সামরিক আগ্রাসন নিয়ে পেলে এত দিন চুপ করেই ছিলেন। কিন্তু কাল রাতে ইউক্রেন মাঠে নামার আগে ব্রাজিলের এ কিংবদন্তি আর চুপ করে থাকতে পারেননি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি পেলের বার্তা, বন্ধ করো ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন।
স্কটল্যান্ডকে ৩–১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ইউক্রেন। ওয়েলসের বিপক্ষে রোববার প্লে–অফ ফাইনাল জিতলেই বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর দেশ। ওলেক্সান্দার জিনশেঙ্কোরা স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে পুতিনের প্রতি খোলা চিঠিতে পেলে লিখেছেন, ‘ইউক্রেন আজ (কাল) ৯০ মিনিটের জন্য হলেও দেশে যে ভয়াবহতা চলছে, তা ভুলে থাকার চেষ্টা করবে।’
ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি এরপর লিখেছেন, ‘আজকের (কাল রাত) ম্যাচটি আমি একটি অনুরোধ জানানোর সুযোগ হিসেবে দেখতে চাই: আগ্রাসন বন্ধ করো। আসলেই এই ভয়াবহ আগ্রাসন চালানোর কোনো যৌক্তিক অর্থ নেই। কূটচালে বাঁধানো এই সংঘর্ষ কষ্ট ও ভীতি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। যুদ্ধ শুধু জাতিকে বিচ্ছিন্নই করতে পারে। মিসাইল ছুড়ে হাজারো শিশুর স্বপ্নকে হত্যা করা, পরিবারকে ঘরছাড়া করা এবং নিরপরাধ মানুষদের মেরে ফেলার পেছনে কোনো আদর্শ থাকতে পারে না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অতীতে সাক্ষাৎ হয়েছে ৮১ বছর বয়সী পেলের। পুতিন তখন ‘হাসিমুখে করমর্দন করেছেন’ বলেও জানান পেলে। এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে স্মৃতিচারণাও করেছেন তিনি, ‘বিরোধ থামানোর ক্ষমতা আপনার (পুতিন) হাতে। ২০১৭ সালে মস্কোয় সর্বশেষ সাক্ষাতে আমরা হাত মিলিয়েছিলাম।’
সাম্প্রতিক সময়ে পেলের স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। গত সেপ্টেম্বরে মলাশয়ের টিউমার অস্ত্রোপচার করিয়ে অপসারণ করান। এরপর কেমোথেরাপি নিয়েছেন বেশ কিছুদিন।