>প্রথম দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার বাজে খেলার দায় অনেকটাই পড়েছিল সাম্পাওলির কৌশলের ওপর। যে কারণে দলের অনেকেই তাঁর ওপর চটে আছেন। একটি ঘটনায় বোঝা গেল, দলের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই আর্জেন্টাইন কোচের...
আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র আর ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে উড়ে গিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার স্বপ্নটা জলাঞ্জলি দিতে বসেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। সাম্পাওলির দল নির্বাচন ও খেলার ধরন নিয়ে সে ম্যাচে মেসিসহ আর্জেন্টাইন সিনিয়র খেলোয়াড়দের অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল বলে খবরে প্রকাশ। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সাম্পাওলির বদলে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের অন্যতম তারকা হোর্হে বুরুচাগাকে কোচ করারও নাকি দাবি উঠেছিল খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। মোট কথা, কোচের ওপর নাকি আস্থাই হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। এসব অবশ্য কানাঘুষা বলেই উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন।
তবে গতকাল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি ঘটনা দেখে মনে হয়েছে, ‘যা কিছু রটে, তার কিছু তো বটেই’। ম্যাচের একপর্যায়ে সাম্পাওলিকে দেখা গেছে তটস্থ হয়ে মেসিকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আগুয়েরোকে কি নামাব?’
টানা দুই ম্যাচ মূল একাদশে খেলানোর পর সাম্পাওলি গতকালকের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই আগুয়েরোকে বসিয়ে রেখেছিলেন ডাগআউটে। মূল একাদশে খেলিয়েছেন আরেক স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইনকে। হিগুয়েইন ম্যাচে ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। গোলের দুটো সহজ সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেছেন। এই অবস্থায় হিগুয়েইনের জায়গায় আগুয়েরো মাঠে নামবেন কি না, সে ব্যাপারেই ম্যাচের শেষ দিকে মেসির পরামর্শ চাইতে দেখা গেছে সাম্পাওলিকে।
এ দৃশ্য দেখেই সন্দেহটা ডালাপালা মেলেছে, তাহলে কি খেলোয়াড়দের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন কোচ? কাকে তুলবেন আর কাকে মাঠে নামাবেন, সে সিদ্ধান্তটা নিতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন। কুঁকড়ে যাচ্ছেন নিজের মধ্যেই।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই লেফটব্যাক নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর জায়গায় আগুয়েরোকে মাঠে নামান সাম্পাওলি। ৮৬ মিনিটে মার্কোস রোহোর গোলে ২-১ স্কোরলাইন নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা। খাদের কিনারা থেকে রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা।