ব্রাজিলের সোনা জয়ের আনন্দ
ব্রাজিলের সোনা জয়ের আনন্দ

অলিম্পিকের সোনা এবারও ব্রাজিলের

নির্ধারিত সময়ে দুই দলের কাউকে আলাদা করা যায়নি। প্রথমার্ধে যোগ্য দল হিসেবে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে আবার ঠিকই ম্যাচে ফিরেছে স্পেন। অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য আর সমতা থাকেনি। ১০৭ মিনিটে ম্যালকমের গোলে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে অলিম্পিক সোনা জিতে নিয়েছে ব্রাজিল। অলিম্পিক ফুটবলে এটি ব্রাজিলের দ্বিতীয় সোনা।

অলিম্পিকে এবার সোনা জেতার প্রতিজ্ঞা নিয়ে দুটি দলই এসেছিল—ব্রাজিল ও স্পেন। কয়েক দিন আগেই শেষ হওয়া ইউরো ও কোপা আমেরিকা দলে থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে অলিম্পিকে এসেছে তারা। অলিম্পিকে সাধারণত ফেবারিটরা হোঁচট খায়। কিন্তু এবার সেসব শঙ্কা উড়িয়ে ঠিকই ফাইনালে উঠে গিয়েছিল স্পেন ও ব্রাজিল। ফাইনালের আগে কাউকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। ইতিহাসও তাদের আলাদা করতে দিচ্ছিল না। বর্তমান অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ওদিকে স্পেনও বার্সেলোনা অলিম্পিকে পেয়ে গেছে সোনার স্বাদ।

সোনা এনে দেওয়া গোলের পর ম্যালকম

ম্যাচের শুরুতে দাপটটা স্পেনই দেখাবে বলে মনে হয়েছিল। ১৬ মিনিটে ব্রাজিলকে বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন ডিয়েগো কার্লোস। মার্কো আসেনসিওর ক্রস থেকে ওইয়ারসাবাল বল পাঠান দানি অলমোর কাছে। অলমোকে আটকাতে গিয়ে কার্লোস নিজের জালেই বল পাঠাতে বসেছিলেন। নিজেই সেটা গোললাইন থেকে কোনোমতে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। পরের মিনিটেই রিচার্লিসনকে ঠেকিয়ে ম্যাচে সমতা রেখেছেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোন।

৩৬ মিনিটে সেই সিমোনই ডোবাতে বসেছিলেন। ম্যাথিয়াস কুনিয়াকে ফাউল করে বসেন সিমোন, পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। কিন্তু এভারটন ফরোয়ার্ডের জোরালো শট আর ঠেকাতে হয়নি সিমোনকে। বারের বেশ ওপর দিয়ে গেছে রিচার্লিসনের পেনাল্টি। যোগ করা সময়ে কুনিয়া তাই নিজেই বুঝে নিলেন দায়িত্ব। স্পেন জাতীয় দলে খেলা পাউ তোরেসের ভুলের সুযোগ নিয়ে দুর্বল এক শট নিয়েছিলেন, সেটাই ব্রাজিলকে এগিয়ে দিতে যথেষ্ট ছিল।

কুনিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল

৫১ মিনিটে ক্রসবারে বল লাগান রিচার্লিসন। স্পেন এরপর খেলায় ফেরে। টানা কিছুক্ষণ ভালো খেলার ফল পেয়েছে ৬১ মিনিটে। অস্কার গিলের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদের স্ট্রাইকার আরেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় মিকেল ওইয়ারসাবাল।

সমতা ফেরানোর পর এগিয়ে যাওয়ার বেশ চেষ্টা করেছে স্পেন। ৮৪ ও ৮৭ মিনিটে দুবার ক্রসবার স্পেনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে অস্কার গিলের শট লাগে ক্রসবারে। একটু পর এ মৌসুমেই টটেনহামে যোগ দেওয়া ব্রায়ান গিলের বাঁ পায়ের জোরালো এক শট কাঁপিয়ে দেয় ব্রাজিলের ক্রসবার। নির্ধারিত সময়ের বাকিটা ব্রাজিলের আক্রমণ ঠেকিয়েই পার করেছে স্পেন।

ওইয়ারসাবালের গোলে ম্যাচে সমতা ফিরেছিল

অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলই দাপট দেখিয়েছে। ১০০ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ করেছেন সিমোন। ১০৪ মিনিটে বল নিয়ে ছুটে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিলেন ম্যালকম। সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ডকে আটকে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রায়ান গিল। কিন্তু দলকে প্রায় নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেই সন্তুষ্ট ছিলেন এই উইঙ্গার।

১০৭ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। আন্তোনির লম্বা এক ক্রস এসেছিল ম্যালকমের পায়ে। এতে অবশ্য স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেসুস ভায়েহোর ভুলও ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার ঠিকভাবে নজরে রাখতে পারেননি ম্যালকমকে। বক্সে ঢুকে পড়ে নেওয়া ম্যালকমের শট সিমোনের পায়ে লেগে জালে ঢুকেছে।