২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বল নিয়ে এগােচ্ছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন।
২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বল নিয়ে এগােচ্ছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন।

অবশেষে ঠিক হলো বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

গত মার্চের পর থেকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের ফুটবল থেকে দূরে আছে বাংলাদেশ। অবশেষে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে)।

নেপাল জাতীয় দলকে ঢাকায় এসে প্রীতি ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয় কিছুদিন আগে। আজই সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ১১-১৯ নভেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে ঢাকায় এসে প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে নেপাল।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা আগেই ওদের কাছে প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটা মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছে নেপাল। ওরা নভেম্বরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে।’

সোমবারের মধ্যে নেপাল দল তাদের সরকারের অনুমতি পেয়ে যাবে বলেও আশাবাদী আবু নাইম, ‘করোনার কারণে নেপাল সরকার এতদিন ওদের দেশে কোনো ধরনের অনুশীলনের অনুমতি দেয়নি। অবশেষে ওরা অনুশীলনের মৌখিক অনুমতি পেয়েছে। আশা করি খেলার অনুমতিও আগামী সোমবারের মধ্যে পেয়ে যাবে।’

ফিফার এই উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে। বাফুফেও চায় দুটি ম্যাচ। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বাফুফে। নেপাল দল কবে নাগাদ ঢাকায় আসবে সেটা আগামী সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানান আবু নাইম।

নেপালের সঙ্গে হতাশার সেই ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে মামুনুল ইসলাম।

করোনার কারণে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের সব ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে আগেই। গত মার্চে ঘরোয়া ফুটবল বাতিল হওয়ার পর থেকে খেলার বাইরে আছেন জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণরা।

এতদিন শোনা গিয়েছিল বাফুফের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা আসতে পারে ঢাকায়। তবে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন সামনে। তা ছাড়া বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দেখে শ্রীলঙ্কা এই সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারবে না জানিয়ে দিয়েছে।

বিকল্প হিসেবে এখন নেপাল সাড়া দিয়েছে। দ্রুতই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরু করবেন।