বিশ্বকাপে ৩২ দলের সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা ক্লাবগুলোরও। নিজ দলের কোনো তারকা যদি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হন, তাহলে গৌরবের বার্তাটা যে পৌঁছে যায় তাঁর ক্লাবেও। যেকোনো বিচারে বিশ্বকাপ ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোরও মর্যাদার লড়াই। বিশ্বকাপের লড়াই তাই চলবে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর মধ্যেও!
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ জন করে আছেন তিনটি ক্লাবের। এই তিনটি ক্লাব হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনা। কাতারের আল-সাদ ক্লাবের আছেন ১৫ জন। ১৪ জন আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। রিয়াল মাদ্রিদের আছেন ১৩ জন। পিএসজি, চেলসি ও সৌদি আরবের আল হিলাল ক্লাবের আছেন ১২ জন করে। ১১ জন খেলবেন জুভেন্টাস, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে। এই ১৩৭ জন খেলোয়াড়ের কেউ যদি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হন কিংবা গোল্ডেন বুট কিংবা গোল্ডেন বল পান—সেটি তাঁর দেশের পাশাপাশি গৌরবের রং ছড়াবে তাঁর পেশাদারি আশ্রয় ক্লাবগুলোতেও।
পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়েরও সেটিই চান। তাঁর চাওয়া, নিজ দলের কোনো খেলোয়াড় এবার প্যারিসে যেন বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব গায়ে মেখেই ফেরেন। লকার রুম কিংবা অনুশীলন মাঠে যেন বিশ্বকাপের পর দারুণ একটা উৎসব করা যায়। হইহুল্লোড় করা যায়। এবারের বিশ্বকাপ-রোমাঞ্চ যেসব তারকাদের ঘিরে আবর্তিত হবে, তাঁদের অন্যতম সেরা তিনজনই যে পিএসজির। লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে—এই তিনজনই বিশ্বকাপের সবচেয়ে লাইমলাইটে থাকা তারকা।
বিশ্বকাপের আগে পিএসজির শেষ ম্যাচ ছিল এজে অসেরের বিপক্ষে। সে ম্যাচে জয় এসেছে ৫-০ গোলে। কিলিয়ান এমবাপ্পে, কার্লোস সোলার, আশরাফ হাকিমি, রেনাতো সানচেজ, হুগো একিতিকে—প্রত্যেকেই একটি করে গোল পেয়েছেন। সে ম্যাচে কোচ একটু আগেভাগেই তুলে নেন মেসি ও নেইমারকে। বিশ্বকাপের দুই ফেবারিট আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই স্বপ্ন সারথি তাঁরা।
নেইমার মাঠ থেকে ছুটি পেয়ে সেদিন একটু আগেভাগেই লকার রুমে চলে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন কোচের কাছে। গালতিয়ের জানিয়েছেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে সেই অনুমতি দিয়ে তিনি তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন। যেটি তিনি জানিয়েছেন মেসি, এমবাপ্পেকেও, ‘আমি শুধু নেইমারকেই শুভকামনা জানাইনি, একই রকম শুভকামনা মেসির জন্য, এমবাপ্পের জন্য, বিশ্বকাপে খেলা পিএসজির সব খেলোয়াড়ের জন্যই।’
পিএসজির কোনো খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ট্রফিটা প্যারিসে নিয়ে আসুক, সেটি খুব করেই চান গালতিয়ের, ‘আমি চাই পিএসজির কেউ বিশ্বকাপ জিতে প্যারিসে ফিরুক। আমরা লকার রুম কিংবা অনুশীলন মাঠে একটা জোর উদ্যাপন চাই।’