বিশ্বকাপ বিরতির আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতেছিল লিভারপুল। বিরতি শেষে লিগ মাঠে গড়ানোর পরও জিতেছে দুই ম্যাচ।
এই চার জয়ে এবারের মৌসুমের শুরু থেকে ইয়ুর্গেন ক্লপের ‘হেভিমেটাল ফুটবল’ যেভাবে খাবি খাচ্ছিল, সেখান থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল। ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ পাঁচে উঠে আসারও সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা আর হলো কই?
ব্রেন্টফোর্ডের কাছে গত রাতে ৩-১ ব্যবধানে হেরে গেছে লিভারপুল। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে। ৮৫ বছর পর অলরেডদের বিপক্ষে পাওয়া প্রথম জয়ে ব্রেন্টফোর্ড উঠে এসেছে সপ্তম স্থানে। তাদের পয়েন্ট এখন ২৬।
জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়ামে কাল মোহাম্মদ সালাহ-দারউইন নুনিয়েজরা নিজেদের ছায়া হয়ে ছিলেন। দুঃস্বপ্নের মতো ম্যাচ কেটেছে ইব্রাহিমা কোনাতের। ব্রেন্টফোর্ডের পাওয়া প্রথম গোলটা তাঁরই ‘উপহার’।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন ইয়োয়ানে উইসা। লন্ডনের ক্লাবটির জয় তখনই এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। লিভারপুল যে গত ১৪ বছরে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া সব ম্যাচই হেরেছে! আর ব্রেন্টফোর্ডেরও আছে অবিশ্বাস্য এক রেকর্ড। প্রথমে গোল করে লিগে কখনো কোনো ম্যাচ হারেনি তারা।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন বদলি নামিয়ে আক্রমণে যায় লিভারপুল। ফলও পায় দ্রুত। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের দুর্দান্ত ক্রসে অরক্ষিত থাকা অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের হেড জড়ায় জালে। ৮০ মিনিটে সমতা প্রায় এনেইছিল লিভারপুল, কিন্তু কোনাতের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। উল্টো ৮৪ মিনিটে ব্রায়ান এমবিউমোর গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড।
কিন্তু ব্রেন্টফোর্ডের এই গোলটি মেনে নিতে পারছেন না ক্লপ। লিভারপুল কোচের মতে, এমবিউমো গোল করার আগে কোনাতেকে ফাউল করেছেন। টিভি রিপ্লে দেখেও সেরকমই মনে হয়েছে। মাঝ মাঠ থেকে এমবিউমোকে লক্ষ্য করে বাড়ানো বলের কাছে আগে যান কোনাতে। হেড করে একটু সামনে এগিয়ে নেন তিনি। তবে পেছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মারেন এমবিউমো। পায়ে-পায়ে সংঘর্ষও হয় দুজনের। এতে কোনাতে পড়ে গেলেও ফাউলের বাঁশি বাজাননি রেফারি স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েল।
ক্লপের যত ক্ষোভ তাই রেফারির ওপর, ‘ব্রেন্টফোর্ড অবশ্যই ভালো খেলেছে। তবে ওদের তৃতীয় গোলকে শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না। আমি বলছি না, রেফারিকে আমাদের পক্ষে বাঁশি বাজাতে হবে। কিন্তু ফাউল মানে ফাউল, কাউকে আটকে রাখা মানে আটকে রাখা, কাউকে ধাক্কা দেওয়া মানে ধাক্কাই দেওয়া। তারা এটা করতে পারে না।’