হেডিংলিতে ঘুরেফিরে আসছেন বেন স্টোকস। আসবেন নাই-বা কেন, ২০১৯ সালের অ্যাশেজে এই হেডিংলিতেই তো অপরাজিত ১৩৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন স্টোকস। অবশ্য আলোচনায় একা স্টোকস আসছেন না, সঙ্গে স্পিনার জ্যাক লিচকেও নিয়ে আসছেন।
সেই ম্যাচে শেষ উইকেট জুটিতে এই লিচকে সঙ্গে নিয়েই ৬২ বলে ৭৬ রান তোলেন, যে জুটিতে লিচের অবদান মাত্র ১ রান। সেই রানের মাহাত্ম্য এমন, তেমন পরিস্থিতি হেডিংলিতে আজ আবারও এলে ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস লিচের মতো ১ রানে অপরাজিত থেকেই স্টোকসকে সঙ্গ দিতে চান।
হেডিংলিতে অবশ্য এবার ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ততটা বড় নয়। চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের সেই ম্যাচে ইংলিশদের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রান। এবার অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করার স্বপ্ন বাঁচাতে চতুর্থ ইনিংসে ২৫১ রান করতে হবে স্টোকসদের। ইংল্যান্ড তৃতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেছে ২৭ রান। হেডিংলিতে শেষ দুই দিনে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২২৪ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট।
আপাতত লক্ষ্যটাকে সহজ মনে হলেও টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান করা একটু কঠিনই, বিশেষ করে তা যদি হয় মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের মতো ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে। কে জানে, ইংল্যান্ড অধিনায়ককে এবারও লড়াইটা একাই করতে হয় কি না! যদি এমনটা হয়, তাহলে ওকস লিচের মতো ১ রান করতে পারলেই খুশি, ‘যদি আমি ১১ নম্বরে ব্যাট করি, আমি ১ রান করে অপরাজিত থাকব, বাকি কাজটা স্টোকসকে করতে দেব।’
স্টোকস আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইংল্যান্ড টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৮, ২৯৯, ২৯৬ ও ২৭৭ রান তাড়া করে জিতেছে। চোটের কারণে এই ম্যাচগুলোয় ছিলেন না ওকস। ইংল্যান্ড এই ম্যাচ জিতে সিরিজে টিকে থাকলে ১৫ মাস পর টেস্টে ফেরা স্মরণীয় হয়ে থাকবে ওকসের। তবে তেমনটা করতে হলে স্নায়ুর লড়াইয়ে আগে জিততে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আসলে এমন রান তাড়ায় স্নায়ুর চাপের চেয়ে রোমাঞ্চটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই রান তাড়ায় স্নায়ুর চাপটা তো থাকেই। তবে এই স্নায়ুর চাপটা ইতিবাচক—টেস্ট জেতা, রান তাড়া করা ও সিরিজে নিজেদের টিকিয়ে রাখার চাপ।’
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রান করে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে টিকিয়ে রাখা ট্রাভিস হেডও চার বছর আগের হেডিংলি টেস্ট ভোলেননি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান বলছেন, ‘সিরিজ জেতার জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা, আশা করছি এই মাঠেই ২০১৯ সালের ভুল শোধরাতে পারব।’